এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপি হারলেও বাংলার এই সব অ্যাকাউন্টে ঢুকতে চলেছে মোটা টাকা? ক্রমশ তীব্র হচ্ছে জল্পনা

বিজেপি হারলেও বাংলার এই সব অ্যাকাউন্টে ঢুকতে চলেছে মোটা টাকা? ক্রমশ তীব্র হচ্ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে ক্ষমতায় এলে কি কি করা হবে, সেই ব্যাপারে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কৃষকদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে অর্থ দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। তবে বাংলার নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতা দখল করতে না পারার পরেই প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে ভোটের মরসুমে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে এসে যে সমস্ত ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেই সমস্ত প্রতিশ্রুতি কি প্রতিশ্রুতিতেই থাকবে? না কি বাস্তবে তার রূপায়ণ হবে!

তবে নির্বাচনে পরাজিত হলেও, এবার বাংলার কৃষকদের ক্ষেত্রে ভোটের বাজারে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী, তা বাস্তব করতে কেন্দ্রকে চিঠি লিখল রাজ্য সরকার। বলা বাহুল্য, নির্বাচনী প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, প্রতিবছর 6 হাজার টাকা করে পাবেন বাংলার কৃষকরা। তবে নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর সেই প্রতিশ্রুতিকে হাতিয়ার করেই সম্প্রতি তাকে চিঠি লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এমনকি রাজ্যের কৃষি দফতরের পক্ষ থেকেও দ্রুত যাতে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়, তার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে জল্পনা তৈরি হয়েছে যে, এবার রাজ্যের চাপে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা তালিকা তৈরির পাশাপাশি সরাসরি কৃষকরা যাতে এই অর্থ পেয়ে যান, সেই প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের এই বিষয়ে চূড়ান্ত সবুজ সঙ্কেত দিলেই আমরা কাজে আরও গতি এনে তা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেব‌।” বলা বাহুল্য, কেন্দ্র এবং রাজ্যের প্রকল্প নিয়ে মাঝেমধ্যেই দড়ি টানাটানি তৈরি হতে দেখা গেছে। স্বাস্থ্যসাথী থেকে শুরু করে কৃষকদের প্রকল্প – কে মানুষের জন্য বেশি জনহিতকর কাজ করছে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে।

আর এই পরিস্থিতিতে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে প্রচার এসে বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলার কৃষকরা বছরে 6 হাজার টাকা করে তিন বছর মোট 18 হাজার টাকা পাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে নির্বাচনে বিজেপি জয়লাভ করেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কৃষকদের জন্য নরেন্দ্র মোদী এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আর সেই বিষয়ে হাতিয়ার করেই এবার কেন্দ্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করল রাজ্য সরকার। যার ফলে রাজ্যের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা দিতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বারবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকার বিমাতৃসুলভ আচারণ করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। এমনকি নির্বাচনী প্রচারেও সেই কথা তুলে ধরে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে অনুন্নয়ন হয়েছে বলে পাল্টা সরব হয়ে বিজেপি আসলে কি কি কাজ করা হবে, তার ব্যাপারে পাল্টা প্রতিশ্রুতি দিতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী ফলাফলে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, বাংলার মানুষ ভরসা রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর।

তবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যে এসে ভোটের মরসুমে নরেন্দ্র মোদী যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন, ভোটে পরাজিত হওয়ার পর যদি তিনি সেই সমস্ত প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে না পারেন, তাহলে যে তার দল বিজেপি এবং তাকে নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে, তা বলাই যায়। আর এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর করা প্রতিশ্রুতিকে হাতিয়ার করে রাজ্যের তরফ থেকে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করার উদ্যোগ নেওয়া হল। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কেন্দ্র এই ব্যাপারে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!