বিজেপি করার ‘অপরাধে’ সারা শরীরে কামড়ে ‘অভিনব’ শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে! কংগ্রেস বর্ধমান বামফ্রন্ট রাজনীতি রাজ্য August 16, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ক্রান্তিলগ্নে পশ্চিমবঙ্গেররাজনৈতিক দলাদলি, হিংসা- প্রতি হিংসা, সংঘর্ষ প্রভৃতি যে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তা সংবাদপত্রের পাতায় কিংবা দূরদর্শনের পর্দার দিকে তাকালেই আমাদের চোখে পড়ে যায়। কিন্তু গতকাল পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম থানার অন্তর্গত বটগ্রামে রাজ্যের দুই রাজনৈতিক দলের কর্মীদের মধ্যে হিংসার যে চিত্র উঠে এলো, তা একদিকে যেমন বিস্ময়কর অন্যদিকে তেমনি ভয়াবহও বটে। গতকাল পূর্ব বর্ধমান জেলার আউসগ্রাম থানার অন্তর্গত বটগ্রামে গ্রামে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর বাজারের দিকে যাওয়া এক বিজেপি কর্মীকে প্রথমে পথরোধ, তারপর বেধড়ক মার, শেষে কামড়ে দেবার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠে এলো স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে থাকা এই বিজেপি যুব কর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন স্থানীয় কিছু বাসিন্দা। হাসপাতালে চিকিৎসারপর কিছুটা সুস্থ হলে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই এলাকার বেশ কিছু তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি নিয়ে স্বভাবতই ব্যাপক অস্থিরতা ছড়ায়। বটগ্রামে বিজেপি কর্মীর উপর এমন নজিরবিহীন আক্রমণ-এর তীব্র প্রতিবাদ করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হলেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। স্থানীয় সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম থানার বটগ্রামের অন্তর্গত বেড়াপাড়ার জনৈক বাসিন্দা হলেন বাপন শেখ। বিজেপির একজন স্থানীয় যুবনেতা হিসেবেও সংশ্লিষ্ট এলাকায় তাঁর যথেষ্ট পরিচিতি আছে। গতকাল শনিবার সকালে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তিনি নিজের বাড়ির সামনেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পতাকা উত্তোলনের কাজ সম্পন্ন হলে তিনি বাইকে করে নিকটবর্তী বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, এই সময়েই তাঁর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তার পথ রোধ করেন স্থানীয় কিছু তৃণমূল সদস্য। এই প্রসঙ্গে বাপন শেখ জানিয়েছেন, ” গ্রামেরই বাসিন্দা মজাই শেখ, মণি শেখ-সহ জনাপাঁচেক তৃণমূল কর্মী আমাকে আটকায়। কেন বিজেপি করছি এই কৈফিয়ত চেয়ে ব্যাপক মারধর শুরু করে। আমার বুকে, হাতে ও গলায় কুকুরের মতো কামড়াতে থাকে। তারপর আমি জ্ঞান হারাই।” এই ঘটনার পর সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পথের ধারে পড়ে থাকা বাপন শেখকে উদ্ধার করেন স্থানীয় কিছু মানুষ। তাদের চেষ্টাতেই শেষপর্যন্ত তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভবপর হয়। হাসপাতালে চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলে তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মারধর করা ও কামড়ে দেবার মত নজিরবিহীন আক্রমণ-এর কথা নিকটবর্তী আউসগ্রাম থানায় লিখিত ভাবে দায়ের করেন। বাপন শেখের উপরে চলা বেনজির এই আক্রমণ প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান বিজেপির আউসগ্রাম ৫৪ নম্বর মণ্ডলের সম্পাদক সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “বাপন আমাদের সক্রিয় কর্মী। ওর নেতৃত্বে ওই এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে আমাদের দলে অনেকে যোগ দিচ্ছেন। সেই আক্রোশেই বাপনের উপর এমনভাবে হামলা চালানো হচ্ছে। আমরা পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছি যাতে অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়।” অবশ্য, বাপন শেখের উপরে চলা এই নজিরবিহীন আক্রমণের অভিযোগ মানতে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করতে দেখা গেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে। তবে, মুখে অস্বীকার করলেও, এই ঘটনা যে শাসকদলকে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলে দিয়েছে, তেমনটাই রাজনৈতিক মহলের অভিমত। আপনার মতামত জানান -