এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপি কর্মী খুনে এলাকা তোলপাড় হতেই জনমোহিনী পথে হেঁটে ক্ষোভ উপশমের চেষ্টা তৃণমূল বিধায়কের?

বিজেপি কর্মী খুনে এলাকা তোলপাড় হতেই জনমোহিনী পথে হেঁটে ক্ষোভ উপশমের চেষ্টা তৃণমূল বিধায়কের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কিছুদিন আগেই গোঘাটে গণেশ রায় নামে এক বিজেপি কর্মীর অপমৃত্যুর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল। যেখানে বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করা হয়। আর এবার বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর পরেই তার পরিবারকে সাহায্য করার পাশাপাশি সেই গ্রামের জন্য দরাজহস্ত হতে দেখা গেল গোঘাটের তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদারকে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই এই গ্রামের বাসিন্দারা রাস্তা আলো সহ পানীয় জলের দাবিতে নানা আন্দোলন করেছিলেন। বারবার এই ব্যাপারে আবেদন জানানো হয়েছিল বিধায়কের কাছে। কিন্তু এতদিন তা পূরণ না হলেও এবার এক লহমাতেই সেই সমস্ত কিছু মঞ্জুর হয়ে গেল।

একাংশের প্রশ্ন, সম্প্রতি এখানে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ গণেশ রায় নামে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। যে ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও বা তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাল্টা এর পেছনে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। আর এরই মাঝে তৃণমূল বিধায়ককে সেই মৃতের পরিবারকে সাহায্যের পাশাপাশি যেভাবে গ্রামের জন্য উন্নয়নের কাজ শুরু করে দেওয়ার প্রক্রিয়া নিতে দেখা গেল, তাতে কি তৃণমূল এখন চাপে পড়েই মানুষের কাছে ভালো হওয়ার জন্য উন্নয়নের কাজ করা শুরু করে দিল! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদার বলেন, “গ্রামবাসীরা কিছু বঞ্চনার অভিযোগ করেছেন। তার মধ্যে চারটি কংক্রিটের রাস্তা, একটি পানীয় জল, দুটি আলো এবং গ্রামের মনসাতলা সংলগ্ন পুকুরের ঘাট বাধাই দ্রুত করতে বলেছি পঞ্চায়েতকে। আরও জব কার্ডের ব্যবস্থা হচ্ছে। জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলা হবে।”

যদিও বা এই ব্যাপারে বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, “এটা তাদের ভোট কেনার রাজনীতি। আমাদের দলের কর্মী খুনের ঘটনায় নিজেদের অপরাধ ঢাকতে তড়িঘড়ি উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন বিধায়ক। কিন্তু ওই গ্রামে বিজেপির সংগঠনের কোনো হেরফের হবে না।” তবে বিজেপির এহেন বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদার। তিনি বলেন, “এতদিন গ্রামবাসীদের সমস্যার কথা কেউ নজরে আনেননি। তাছাড়া গণেশের মৃত্যুর পর তার পরিবার এবং গ্রামের যদি উন্নয়ন হয় তাহলে অসুবিধা কোথায়!”

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, তৃণমূল বিধায়কের এই বক্তব্যে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। তবে বিজেপির এই কর্মী মৃত্যুর পরেই যেভাবে এই গ্রামের দিকে বাড়তি নজর দিতে শুরু করলেন তৃণমূল বিধায়ক এবং তা নিয়ে বিজেপি প্রশ্ন তুলতে শুরু করল, তাতে নতুন করে গুঞ্জন ছড়িয়েছে এলাকায়। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!