বিজেপির ১০০ নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু পুলিশের রাজ্য December 4, 2017 রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপরে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে রায়গঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন দলের কর্মীরা।বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় যে মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল নিয়ে পুলিশ পালিয়ে যায় আর এর পরেই ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায় । পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি বেধে যায়।আন্দোলনকারীরা একটি সরকারি বাসে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ।পরিস্থিতি সামাল দিতে পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এই প্রতিবাদে বিজেপির নেতা ও কর্মীরা প্রায় একঘণ্টা ওই এলাকার রাজ্যসড়ক অবরোধ করেন।আর এই নিয়েই বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি নির্মল দাম সহ দলের ১০০ জন নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করল পুলিশ।জানা যাচ্ছে যে পুলিশকর্মীদের সরকারি কাজে বাধাদান, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, বিনা অনুমতি নিয়ে অবৈধ জমায়েত, মিছিল ও পথ অবরোধের অভিযোগে রবিবার পুলিশ নির্মলবাবু সহ বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩৫৩, ৩ পিডিপিপি, ১৪৩ ও ৩২ পুলিশ অ্যাক্ট ধারায় মামলা দায়ের করেছে! তার মধ্যে ৩৫৩ ও ৩ পিডিপিপি ধারা জামিন অযোগ্য। থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাস এই নিয়ে বলেন যে নেতা কর্মীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে এছাড়া তদন্ত শেষ হলেই তাদের গ্রেফতার করা হবে। অবশ্য বিজেপি হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে এই মিথ্যা মামলায় পুলিশ একজন কর্মীকেও গ্রেফতার করলে আগুন জ্বলবে। এছাড়া নির্মলবাবুর দাবি, করেন যে তৃণমূল বিজেপির খামাত দেখে ভয় পেয়েছে আর সেই জন্যই পুলিশ দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে বিজেপির শক্তি হ্রাস করতে চাইছে। এছাড়া তিনি আরো অভিযোগ করেন যে কয়েকদিন আগে তৃণমূল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল জ্বালিয়েছিল। তাতে পুলিশ তো কিছু করেনি উল্টে তৃণমূলকে নিরাপত্তা দিয়েছিলো। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সরকারি বাসে ভাঙচুর চালিয়ে বিজেপিকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য।তিনি বলেন পুলিশ আইন মেনেই কাজ করছে। আপনার মতামত জানান -