এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > সংগঠন বাড়াতে প্রচারে নতুনত্ত্ব আনছে বিজেপি

সংগঠন বাড়াতে প্রচারে নতুনত্ত্ব আনছে বিজেপি

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার সভায় দেখা গেল বিজেপির অভিনব উদ্যোগ। সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য গ্রাম বাংলার বাউল কীর্তনিয়াদের নামানো হচ্ছে। বিজেপি সূত্রে দাবি, গ্রামের মাটির মানুষের খুব কাছের এই বাউল ও কীর্তন । এই বাউল ও কীর্তন গানের মধ্যে দিয়েই মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব। কেন্দ্রীয় সরকারের ইতিবাচক দিক ও নানান প্রকল্পের কথা তুলে ধরার অন্যতম সেরা উপায় । পাশাপাশি , রাজ্যে সরকারের দুর্নীতি ও কেন্দ্রের প্রকল্পকে নিজের নামে চালানোর ক্ষেত্রে সচেতন করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও ,বিরোধীদের দাবি রাজ্যে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে বিজেপি। গ্রামের মানুষের কাছে হিন্দুত্বের প্রচার করছে তাঁরা।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বিজেপির দুটি সভায় এই বাউল ,কীর্তনিয়াদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একটি উলুবেড়িয়া কেন্দ্রের মহিষানী কালিতলায় এবং অন্যটি বীরভূমের মোল্লারপুরে। ভোট প্রচার বা প্রশাসনিক অনুষ্ঠানে শাসকদলকে বহুবার সাঁওতাল সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে নানা অনুষ্ঠান করতে দেখা গেছে।বিজেপি কি সেই পথেই এগোচ্ছে? সমালোচকদের মতে , শাসকদলের সংখ্যালঘু তোষণনীতির বিরুদ্ধে রাজ্যে হিন্দুত্বের জিগির তুলতে চাইছে বিজেপি। আবার অনেকের মতে , তৃনমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ ও মুকুল রায় দল ছাড়ার পর তৃনমূলের অন্দরে ভাঙ্গনের সম্ভবনা প্রবল,এরমধ্যে হিন্দুত্বের প্রচার করে তৃনমূলের ভোট ব্যাঙ্কে ধস নামাতে উদ্যত গেরুয়া শিবির। পাশাপাশি দলীয় সূত্রে খবর, অবহেলিত বাউল ও কীর্তনিয়াদের নূন্যতম মাসিক ভাতা, পেনশন, অন্ত্যদয় যোজনা প্রভৃতি সুযোগ সুবিধার কথাও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের দাবি, গ্রামাঞ্চলে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ,তাহলে তাদের ভোটের সিংহভাগ যেতে পারে বিজেপির ঘরে । এই বিষয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত সহনেতা সুরেশ পূজারী বলেন, লোকগানের মধ্যে দিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বাউল, কীর্তনিয়াদের অডিও ও ভিডিও সিডির মাধ্যমেও এই প্রচার করা হবে।। এই ভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্পের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!