এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিজেপি সাংসদরা পদ ছাড়তেই চরম হতাশা বিজেপিতে, দলে দলে তৃণমূলে নাম লেখানোর হিড়িক নীচুতলায়!

বিজেপি সাংসদরা পদ ছাড়তেই চরম হতাশা বিজেপিতে, দলে দলে তৃণমূলে নাম লেখানোর হিড়িক নীচুতলায়!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বেশকিছু লোকসভার সাংসদকে প্রার্থী করা হয়েছিল। যাঁদের মধ্যে দুজন সাংসদ জয়ী হয়েছেন। যারা হলেন জগন্নাথ সরকার ও নিশীথ প্রামানিক। তবে, সংবিধানের বিধি অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি কখনোই সাংসদ ও বিধায়ক পদে আসীন থাকতে পারেন না, যে কোন একটি পদ তাঁদের ছেড়ে দিতে হয়। এরপর, দলের নির্দেশ অনুযায়ী বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন এই দুই সাংসদ। দিনহাটার বিধায়ক পদ থেকে নিশীথ প্রামাণিক ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই দলের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে, অনেকেই নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ফলে শুরু হয়েছে তৃণমূলে যোগদান, যা তীব্র অস্বস্তিতে ফেলে দিচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে।

কোচবিহার জেলার দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী করা হয়েছিল এই জেলার সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে। দিনহাটার তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন দুবারের বিধায়ক উদয়ন গুহ। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ৫৭ টি ভোটে জয়ী হয়েছিলেন নিশীথ প্রামানিক। তবে, বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর দলের নির্দেশ অনুযায়ী, বিধায়ক পদ ত্যাগ করে সাংসদ পদ ধরে রেখেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, একসঙ্গে সাংসদ ও বিধায়ক পদে থাকা যায় না। এ কারণে নির্দেশ মেনে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।

তাঁর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই দলের সাধারণ কর্মী, সমর্থকদের মনে ক্ষোভ, হতাশা, আশঙ্কার মেঘ জমতে শুরু করেছে। নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েও অনেকে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। দলের সাধারণ কর্মী সমর্থকদের অভিযোগ, বিধায়ক থাকতে পারবেন না জেনেও কেন নির্বাচনে লড়াই করেছেন তিনি? তাদের অভিযোগ, যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে, প্রচুর পরিশ্রম করে তাদের প্রার্থীকে জয়ের মুখ দেখিয়েছেন তাঁরা। তাঁরা আশা করেছিলেন, বিধায়ক হিসেবে তাদের পাশে থাকবেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনে জয়লাভের অল্পসময়ের পরেই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁদের অভিযোগ, তাদের লড়াইকে সম্মান না জানিয়ে বিধায়ক পদ ছেড়ে দিয়েছেন নিশীথ প্রামাণিক। এবার দলকে উপনির্বাচনের সম্মুখীন হতে হবে। উপ নির্বাচনে তৃণমূলকে জেতার রাস্তা তিনিই করে দিয়েছেন। তৃণমূলের হুমকি, চোখ রাঙ্গানি সহ্য করে দলের হয়ে যারা কাজ করেছিলেন, দলের শীর্ষ নেতারা সেই সাধারণ কর্মীদের কথা একদমই চিন্তা করেননি। এরপর দলের কর্মীরাও হয়তো আর দলের প্রার্থীকে ভোট দেবেন না। নিশীথ প্রামাণিক বিধায়ক পদ ছেড়ে দেবার পর দলের বেশ কিছু সাধারণ কর্মী সমর্থক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। আগামী দিনে বিজেপির বেশকিছু মন্ডল সভাপতি, বেশকিছু শহর, ব্লক স্তরের নেতা তৃণমূলে যোগদান করবেন, এমনটাই দাবি করছে শাসক দল তৃণমূল।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির পরাজয়ের পর দলের কর্মীদের কথা না ভেবে নিজের স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েছেন বিধায়ক। এ কারণে নির্বাচনে জয়লাভের পর তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে দিনহাটার জনৈক তৃণমূল নেতা বিশু ধর জানিয়েছেন, বিধায়ক দলের কর্মীদের ছেড়ে চলে গেছেন। বিজেপির সাধারণ কর্মী সমর্থকরা ক্ষুব্ধ, হতাশ হয়ে তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করেছেন। অনেকেই তৃণমূলে যোগদান করার আবেদন জানিয়েছেন। বেশকিছু মন্ডল সভাপতিও তৃণমূলে যোগদানে ইচ্ছুক। তাদের আবেদন পত্র খতিয়ে দেখছেন তারা।

তবে, এ প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপি সভানেত্রী মালতী রাভা রায় জানিয়েছেন, নিশীথ প্রামানিক বিধায়ক পদ ছেড়ে দেওয়ায় দলের বেশ কিছু কর্মী সাময়িকভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন, অনেকের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল, তবে তা মিটে গেছে। বিজেপি কর্মীরা অনেক লড়াই করে, সংগ্রাম করে এই অবস্থায় পৌঁছেছেন। কেউই বিজেপি দল ছেড়ে চলে যাননি, আগামী দিনেও কেউ বিজেপি ছেড়ে চলে যাবেন না। তবে, বিজেপির জেলা সভানেত্রী এই দাবি করলেও, বাস্তব অবস্থা কি সত্যিই তাই? তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ দিনহাটার বাসিন্দা ও রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র দীপ্তিমান সেনগুপ্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, দিনহাটার মানুষের সঙ্গে যিনি খেলা করেছেন, কেউ তাঁকে ক্ষমা করবেন না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!