এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ভোটে জিতেই ‘হাওয়া’ বিজেপি বিধায়করা! ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষ থেকে দলীয় কর্মীদের!

ভোটে জিতেই ‘হাওয়া’ বিজেপি বিধায়করা! ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষ থেকে দলীয় কর্মীদের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একসময়ের লালদুর্গ বলে পরিচিত শিলিগুড়িতে বিধানসভা নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ফললাভ করেছে বিজেপি। শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া-নক্সালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া, শিলিগুড়ির নিকটবর্তী ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি কেন্দ্রে বিজেপির জয় এসেছে। নির্বাচনী প্রচারের সময় বিজেপি প্রার্থীরা বারবার জানিয়েছিলেন যে, আগামী দিনে মানুষের পাশে থেকে তাঁরা কাজ করবেন। মানুষ তাঁদের ওপর ভরসা করেছেন। তাঁরা নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকেই তাঁরা প্রায় বেপাত্তা। বিজেপি বিধায়কদের এই কার্যকলাপে একদিকে যেমন ক্ষুব্দ হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, অন্যদিকে তেমনি ক্ষোভ বাড়ছে দলের সাধারণ নেতা-কর্মীদের। অনেক বিজেপি নেতার বক্তব্যতে যা প্রকাশ পাচ্ছে।

শিলিগুড়িতে করোনা সংক্রমণ তীব্র আকার ধারণ করেছে, আংশিক লকডাউন থাকার কারণে বহু মানুষের জীবিকা নিয়ে তীব্র সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু বিধায়কের দেখা মিলছে না। শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ এ বিষয়ে প্রায় নিরব। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তিনি কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইলেও, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো রকম সহযোগিতা পাচ্ছেন না তিনি। তিনি বিধায়ক হলেও কোনো বৈঠকে ডাকা হয় না তাঁকে। হাসপাতালে পক্ষ থেকেও কোনো তথ্য দেয়া হয়না তাঁকে। তবে, তাঁর এই দাবি মেনে নিতে পারছেন না দলের নেতাকর্মীরাই। এ প্রসঙ্গে জনৈক বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, এই সমস্ত কিছু অজুহাত। কাজ করার ইচ্ছে থাকলে অনেক কিছুই করা যায়।

বিধায়কের ভূমিকায় সাধারণ মানুষ যেমন ক্ষিপ্ত, তেমনি ক্ষিপ্ত দলের বেশ কিছু নেতাকর্মীরাও। জনৈক বিজেপি নেতা জানালেন, শংকর ঘোষের করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার অভিজ্ঞতা ছিল। তাঁরা আশা করেছিলেন, বিধায়ক হিসেবে তাঁর নেতৃত্বে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াবে দল। কিন্তু সেভাবে দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। তাই মানুষ তাদের ওপর ক্ষুব্ধ। মানুষের কথা চিন্তা করে করোনা আক্রান্ত মানুষের জন্য টেলিমেডিসিন পরিষেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শংকর ঘোষ। একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এত কিছু করেও মিটছে না সমস্যা, যাচ্ছেনা ক্ষোভ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির সাংগঠনিক জেলা বিজেপি নেতা ডাক্তার কৃষ্ণেন্দু দে জানিয়েছেন, বিজেপির পক্ষ থেকে মেডিক্যাল অ্যাকশন স্কোয়াড গঠন করে শহরবাসীকে পরিষেবা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। ভ্যান রিক্সা বা টোটো ব্যবহার করে দুঃস্থ মানুষদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন। বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে দুঃস্থ মানুষকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া, তারা সুস্থ হলে তাদের হাসপাতাল থেকে বাড়িতে পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করে দেওয়া প্রয়োজন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন, বিজেপি নেতা ডাক্তার কৃষ্ণেন্দু দের এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, বিধায়ক যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করেছেন তা মোটেই যথেষ্ট নয়। আরো সুদৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

প্রসঙ্গত, গতবছর করোনা সংকটের সময়ে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল শংকর ঘোষকে। সে সময়ে শিলিগুড়ি পুরসভার সিপিএম কাউনসিলর ছিলেন তিনি। প্রাক্তন বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পরিষদের সদস্য হিসেবে তিনি রাস্তায় নেমে দুস্থ মানুষের জন্য পরিষেবা দিয়েছেন। করোনা মোকাবিলায় পুরসভার কাজে তিনি সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেছেন। রাস্তায় নেমে নিজে তিনি কাজ করেছেন। কিন্তু, এবার সেই ভূমিকায় দেখা যাচ্ছেনা বিধায়ককে, যা নিয়ে হতাশ শহরবাসী। হতাশ, অন্যান্য বিধায়কদের ভূমিকা নিয়েও।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!