এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > বিজেপি সভাপতি স্বেচ্ছাচারিতা চালাচ্ছেন অভিযোগে উত্তাল গেরুয়া শিবিরের অন্দর! পুড়ল কুশপুতুল!

বিজেপি সভাপতি স্বেচ্ছাচারিতা চালাচ্ছেন অভিযোগে উত্তাল গেরুয়া শিবিরের অন্দর! পুড়ল কুশপুতুল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আরও একবার প্রকাশ্যে এসে পড়লো গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আসতে চলেছে একুশের অতি প্রতীক্ষিত বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই এখন ঘর গোছাতে ব্যস্ত বাংলার প্রতিটি রাজনৈতিক দল। অথচ এই সময় রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির অন্দরে একের পর এক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা প্রকাশ পাচ্ছে। এবং যত দিন যাচ্ছে, ততই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরো তীব্র ভাবে প্রকট হচ্ছে। তীব্র অশান্তির কারণেই ক্রমশ ফিকে হয়ে যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের জোরালো সংগঠনের দাবী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বরাবরই বাঁকুড়া জেলার গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীকোন্দল সর্বজনবিদিত।

আবারও একবার মন্ডল সভাপতি পরিবর্তনের হাত ধরে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল তীব্র হয়ে উঠলো। বাঁকুড়ায় সম্প্রতি ইন্দপুর 1 এবং ছাতনা – 3 এর মন্ডল সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এ কথা জানাজানি হওয়া মাত্রই বিজেপি কর্মীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে রবিবার দুপুরে ইন্দপুর বাংলা মোড়ের কাছে জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রের কুশপুতুল পোড়ালেন প্রকাশ্যে। সূত্রের খবর, ইন্দপুর 1 এর মন্ডল সভাপতি বিবেক সাহানাকে সরিয়ে সে জায়গায় আনা হয়েছে তারকনাথ গোস্বামীকে। অন্যদিকে ছাতনা 3 মন্ডল সভাপতি সিদ্ধেশ্বর কুন্ডুকে সরিয়ে সে জায়গায় আনা হয়েছে পরমেশ্বর মন্ডলকে। যদিও বিতর্ক এড়াতে ইন্দপুর-1 ও ছাতনা-3 মন্ডল সভাপতিদের জেলা কমিটির সদস্য করা হয়েছে।

কিন্তু তা সত্ত্বেও বিতর্ক এড়ানো যায়নি। বিজেপি কর্মীদের মধ্যে এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই শোনা যাচ্ছে বাঁকুড়ার বিজেপি সভাপতি তাঁর ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করছেন। অন্যদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন বাঁকুড়া জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র। তিনি দাবি করেছেন, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুই মন্ডল সভাপতিকে পরিবর্তন করা হয়েছে। এর পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই। বরং যাদের পরিবর্তন করা হয়েছে, তাঁরা জেলা কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। তবে ইন্দপুরের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে এদিন জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ বাবু জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীরা কেউই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যুক্ত নয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কারণ বিজেপির এমন কেউ নেই, যারা দল বিরোধী কাজ করবে। প্রসঙ্গত বেশ কয়েক মাস ধরেই বাঁকুড়া জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভের পারদ চড়ছে। সম্প্রতি সেখানে জেলা সভাপতি এবং ছাতনা 3 মণ্ডল সভাপতির একটি কথোপকথন সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হয়। আর সেখানেই শোনা গেছে, বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র 15 দিনের মধ্যে ছাতনা 3 মন্ডল সভাপতি সিদ্ধেশ্বর কুন্ডুকে সরিয়ে দেবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন। এরপর এই শনিবার তালডাংরা বৈঠক থেকে সিদ্ধেশ্বর মন্ডলকে সরিয়ে দেওয়া হয়। একই সাথে ইন্দপুর 1 এর মন্ডল সভাপতি বিবেক সাহানাকেও সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা আগুনে ঘি ফেলে। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে।

এদিন দুপুরে তাঁরা দলীয় প্ল্যাকার্ড এবং পতাকা হাতে নিয়ে প্রকাশ্যে বিক্ষোভ দেখিয়ে জেলা সভাপতির কুশপুতুল পোড়ান। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। অন্যদিকে এই আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা 13 নম্বরের শক্তিকেন্দ্র প্রমমুখ রানা তন্তুবায় জানিয়েছেন, জেলা সভাপতি মন্ডল কর্মীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই মন্ডল সভাপতি কে অপসারণ করেছেন। অন্যদিকে তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আশা একজন আর সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই বর্তমানে প্রতিবাদে সামিল তাঁরা বলে জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রের দিকে অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই। নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য দলের নীতি ও আইনকে বারে বারে ভাঙছেন তিনি বলে অভিযোগ।

অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরে অন্দরে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে যেকোনো সময় বড়োসড়ো ভাঙন ধরাতে পারে দলে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এবং সেক্ষেত্রে তৃণমূল শিবিরের জন্য যে সুবিধা বয়ে আনবে সে কথা বলাইবাহুল্য। অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিভিন্ন জেলায় গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকারান্তরে তাদের সাংগঠনিক জোর আলগা করে দিচ্ছে। যা আগামী দিনের নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলবে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!