এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বিজেপিতে এসেই বড় ঘোষণা শুভেন্দুর, দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামকে তৃণমূল-শূন্য করার অঙ্গীকার

বিজেপিতে এসেই বড় ঘোষণা শুভেন্দুর, দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামকে তৃণমূল-শূন্য করার অঙ্গীকার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একসময় গোটা রাজ্যে যেখানে যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস অসুবিধের মুখে পড়ত, সেখানেই মুশকিল-আসান হয়ে উঠেছিলেন তিনি। শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, জঙ্গলমহল সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে। আর যেখানে যেখানে তিনি দায়িত্ব নিয়েছিলেন, সেখানে তৃণমূলকে সাফল্যের মুখ দেখিয়েছেন‌। কিন্তু সেই শুভেন্দু অধিকারী এখন তৃণমূলের বিরোধীপক্ষ ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছেন।

তবে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিলেও তাকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই তার খাসতালুকে গিয়ে সভা করে তাকে বিশ্বাসঘাতক বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের সৌগত রায় থেকে শুরু করে ফিরহাদ হাকিম। আর তৃণমূল তাকে কটাক্ষ করার পরের দিনই এবার কাঁথিতে পদযাত্রা করে বিপুল জমায়েত করে সেই তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

যেখানে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে অবিভক্ত মেদিনীপুরের 35 টি আসন বিজেপি দখল করবে বলে দাবি করলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্দেশ্য কাথির মাটি থেকে শুভেন্দু অধিকারীর ছুড়ে দেওয়া এই চ্যালেঞ্জ এখন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এককালে নিজের গড় থেকে বিরোধী দল বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতেন এই শুভেন্দু অধিকারী।

কিন্তু তখন তিনি তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন। এমনকি বাস্তবে তা পালন করে দেখিয়েছিলেন। কিন্তু এবার সেই শুভেন্দুবাবু বিজেপিতে নাম লিখিয়ে যেভাবে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন, তাতে তিনি এবার তার কথা কতটা বাস্তব করতে পারেন, তার দিকে নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার কাঁথিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এখানে দাঁড়িয়ে বলছি, আমি শুভেন্দু অধিকারী এবং দিলীপ ঘোষ মিলে অবিভক্ত মেদিনীপুরের 35 টি আসন দখল করব।” অর্থাৎ শুভেন্দুবাবুর এই কথা থেকেই স্পষ্ট যে, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে বিন্দুমাত্র জমি ছেড়ে দেবেন না। এক্ষেত্রে এককালে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করা শুভেন্দু অধিকারী এবার বিজেপির হয়ে ব্যাটিং করার জন্য মাঠে নেমে যেভাবে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন, তা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে আবার বলতে শুরু করেছেন, শুভেন্দু অধিকারী খুব ভাল করেই জানেন, তৃণমূলের অন্দরমহলের সমস্ত ঘটনা। তাই কাথির সভা থেকে তিনি নাম করে ফিরহাদ হাকিম এবং সৌগত রায়কে কটাক্ষ করেছেন। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী 7 জানুয়ারি নন্দীগ্রামে আসলে তার পাল্টা তিনি সভা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন এই তৃণমূল নেতা। অর্থাৎ এখন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির লড়াই অপেক্ষা সেই লড়াই যে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৈরি হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিশ্লেষকদের মতে, এতদিন পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, জঙ্গলমহল এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা শুভেন্দু অধিকারীর চোখ দিয়েই দেখত তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এবার অবস্থার অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী এবার বিজেপিতে রয়েছেন। তাই সেই সমস্ত এলাকায় সংগঠনকে চাঙ্গা করতে ময়দানে নামতে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ময়দানে নামার আগেই যেভাবে কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারী অবিভক্ত মেদিনীপুরের প্রতিটি আসনে জয়লাভ করবে বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন, তাতে তৃণমূল নেতৃত্ব অনেকটাই চাপের মুখে পড়ল বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে শুভেন্দু অধিকারীর এই চ্যালেঞ্জ কতটা বাস্তব হয় এবং তার ফলে শাসকদল কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তা আগামীদিনে ভোটবাক্স খোলার পরই স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে দাবি পর্যবেক্ষকদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!