বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তাল অনুব্রত-গড়, উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে আসরে পুলিশ মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য November 12, 2018 লোকসভা ভোটের আগে ফের রাজ্যরাজনীতিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের নজির গড়ে উত্তাপ বাড়াল অনুব্রত গড়। বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানার পারচন্দ্রহাট গ্রামে এদিন তৃণমূল-বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ঘটনার জেরে দুই পক্ষের চারজন জখম হন। এদের মধ্যে তৃণমূলের দুইজন সমর্থককে মল্লার পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে বিজেপির দুজন সমর্থক এখনো গুরুতর জখম অবস্থায় সাঁইথিয়া গ্রামীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিস্থিতি এতোটাই বিগড়ে রয়েছে যে উত্তেজনা রুখতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশবাহিনী। স্থানীয় সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে,গ্রামে কালিপুজোর রাতে হুল্লোড় করতে গিয়েই ঝামেলা বাধে দু পক্ষের। অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় সাউন্ডবক্সের গানের তালে তালে নাচানাচি করতে গিয়ে গ্রামের মহিলাদের হাত ধরে টানাটানি করছিল বিজেপির লোকজন। এই অশালীন আচরণে বাধা দিতে তৃণমূল নেতা অশোক লেটের দাদা অসীম লেট এগিয়ে গেলে দুপক্ষের মধ্যে তুমুল কথা কাটাকাটি হয়। তার সূত্র ধরে ধস্তাধস্তি হয় এবং মারামারিও বাধে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বিজেপির লোকজন। বেধড়ক মারধোরের জেরে এক তৃণমূল কর্মীর হাত ভেঙে গিয়েছে।এমনটাই অভিযোগে জানিয়েছেন অশোক বাবু। এই ঘটনার পরই সঙ্গে সঙ্গে থানায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল এদিকে,ওই এলাকাতেই কালীপুজোর মন্ডপে বাউল গানের আসর বসেছিল। সেইসময় বিজেপির লোকজন হঠাৎ-ই লাঠি,টাঙ্গি নিয়ে আক্রমণ চালায়। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা অভিযোগ তুলে নিতে বলে। এর জেরে দুপক্ষের মধ্যে ফের গন্ডোগোল বাধে। তবে পুজো কমিটির সক্রিয়তায় দুই প্রতিপক্ষ পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরেরদিন সকালে দুপক্ষকে সমঝোতা করে নিতে বলা হলে পরিস্থিতি আরো বিগড়ে যান। সরাসরি ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। এর জেরে দু পক্ষেরই চারজন গুরুতর জখম হন। পুলিশ এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা প্রভাত বাগদি বলেন,এলাকায় বিজেপির রমরমা সহ্য করতে পারছে না তৃণমূল তাই সেই হিংসায় এরকম সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি করছে। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে তৃণমূলের লোকজন বিজেপিকে মারার জন্যে সকাল থেকেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে অপেক্ষা করছিল। এরপর বিজেপির লোকজনকে প্রকাশ্যে দেখে ঝামেলা করে। মারামারি বাধায়। আসলে তৃণমূল চায় না,গ্রামে সবাই মিলেমিশে থাকুক। পরিস্থিতির স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার জন্য আপাতত এলাকায় পুলিশি পিকেটিং বহাল থাকবে,এমনটাই জানানো হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। চনের ফলাফল। আপনার মতামত জানান -