এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > গেরুয়া ঝড় স্তব্ধ করে বাংলার বুকে ঘাসফুলে হাওয়া ফিরছে! দাবি টীম পিকের

গেরুয়া ঝড় স্তব্ধ করে বাংলার বুকে ঘাসফুলে হাওয়া ফিরছে! দাবি টীম পিকের

সম্প্রতি 2019 এর লোকসভা ভোটের পর পশ্চিমবঙ্গে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে শাসক দল তৃণমূল। সে জায়গায় অনেকটাই এগিয়ে আসে বিরোধী দল বিজেপি। লোকসভা ভোটে বাংলায় ভালো ফল করার পর স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যে গেরুয়া ঝড় ওঠে। আর সেই ঝড়ে দলবদল চলতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল দ্বারস্থ হয় ভোট কৌঁশলী প্রশান্ত কিশোরের। আর তারপর থেকেই দাবি করা হয়, রাজ্যের হাওয়া আবার তৃণমূলের দিকে ঘুরছে। প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের দায়িত্ব নেবার পর তৃণমূল নেতৃত্ব প্রশান্ত কিশোরের পরিকল্পনা অনুযায়ী চালু করেন ‘দিদিকে বল’ জনসংযোগ কর্মসূচি। যেখানে মানুষ তাঁদের অভাব-অভিযোগ একটি ফোন নাম্বারের মাধ্যমে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানোর সুযোগ পায়। আর তার পরেই রাজ্যের হাওয়া ঘোরে বলে দাবি জানিয়েছে পিকের টিম।

গত মঙ্গলবার কলকাতায় দলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অরূপ বিশ্বাস, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভোট কৌঁশলী প্রশান্ত কিশোর নিজে। এবং সেখানেই টিম পিকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, লোকসভা ভোটের নিরিখে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল যেভাবে পিছিয়ে ছিল, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য তৃণমূল আবার প্রস্তুত হয়ে গেছে।

জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার দুই জেলায় বিধানসভা হচ্ছে বারোটি। যার মধ্যে লোকসভা ভোটের নিরিখে 11 টিতে বিজেপি এগিয়ে ছিল। পিকের টিম দাবি জানিয়েছে, এখন যদি এই দুই জেলাতে ভোট হয়, তাহলে এগারোটার মধ্যে তৃণমূল 6 টি আসনে নিশ্চিতভাবে জিতবে। বাকি বিধানসভাগুলিও কয়েক মাসের মধ্যেই ক্ষতি সামাল দিয়ে উঠতে পারবে বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে টিম পিকে দাবি জানিয়েছে, ‘দিদিকে বল’ জনসংযোগ কর্মসূচির মাধ্যমেই এই ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়েছে।

সূত্রের খবর, দলীয় বৈঠকে এদিন টিম পিকে পরিষ্কার করে জানিয়ে দেয়, কোন কোন এলাকায় ‘দিদিকে বল’ কর্মসূচি রূপায়িত হয়নি। এলাকার নাম ধরে ধরে বলায় অনেক নেতাই অস্বস্তিতে পড়েন বলে জানা গেছে। জলপাইগুড়ির পুরসভায় এলাকাগুলিতে যে ‘দিদিকে বল’ কর্মসূচি সঠিকভাবে রূপায়িত হয়নি, তা তৃণমূলের নিজস্ব রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। জেলা তৃণমূলের তরফে পিকের টিমকে পাল্টা প্রস্তাব দিয়ে সব কাউন্সিলরকে ‘দিদিকে বল’ কর্মসূচি রূপায়ণ করার কথা বলা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দলীয় এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী, যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূলের আহ্বায়ক তথা পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু প্রভৃতি নেতারা। পরবর্তীতে উপস্থিত নেতারা কেউই এই বৈঠক নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে এক ব্লক সভাপতি উল্লেখ করেছেন, ‘পিকের টিম পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে ‘দিদিকে বল’ করতেই হবে। দিদিকে অভিযোগ জানাতে পেরে অনেকের রাগ কমেছে। জনমত ফের দলের পক্ষে আসছে বলে পিকের টিম দাবি করেছে।’

সূত্রের খবর, টিম পিকে যে বিধানসভাগুলির উল্লেখ করেছে, তৃণমূলের দিকে ঘুরছে বলে সেগুলির নাম অবশ্য তাঁরা জানায় নি। যদিও, জেলার এক তৃণমূল নেতা জানান, ‘বৈঠকের পরে পিকের টিমকে জিজ্ঞেস করে জেনেছি ছটির মধ্যে চারটি জলপাইগুড়ির এবং দুটি আলিপুরদুয়ারের।’ অন্যদিকে এই সম্পূর্ণ ব্যাপারটিতে আলোকপাত করে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বাপি গোস্বামী বলেন, ‘পিকে কেন কেউই তৃণমূল নেতাদের পরীক্ষায় পাশ করাতে পারবেন না। তৃণমূল যা দাবি করে তত ভোট পায় না।’

প্রসঙ্গত, প্রশান্ত কিশোরের পরিকল্পনামাফিক ‘দিদিকে বল’ জনসংযোগ কর্মসূচি চালু করেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব গত 29 জুলাই। এই কর্মসূচি থেকে জেলা সভাপতি, ব্লক সভাপতি, যুবনেতা কাউন্সিলররা জনসংযোগ কর্মসূচিতে প্রতিটি এলাকায় যান। এবার ‘দিদিকে বল’ জনসংযোগ কর্মসূচির কাজকর্মের খতিয়ান দেখার জন্য শুরু হয়েছে রিভিউ মিটিং। সমগ্র বিষয় পর্যবেক্ষণ করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, তৃণমূল যেভাবে প্ল্যানমাফিক প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে এগিয়ে চলেছে, তা দেখে বোঝা যাচ্ছে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন জিততে তাঁরা কতটা মরিয়া। আপাতত প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কের ওপর নির্ভর করে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল। এই অবস্থায় রাজনৈতিক মহল লক্ষ্য রাখতে চলেছে সামনের নির্বাচনগুলিতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!