এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপির ভোট বৃদ্ধিতে দলের অন্তর্ঘাত আছে কি? ধন্দে তৃণমূল, বাড়ছে চাপ

বিজেপির ভোট বৃদ্ধিতে দলের অন্তর্ঘাত আছে কি? ধন্দে তৃণমূল, বাড়ছে চাপ

এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যের 42 এ 42 টি আসন দখল করার ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু ফলাফল ঘোষণার পর গতবার তৃণমূল যে 34 টা আসন পেয়েছিল, তার থেকেও কমে এইবার তাদের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় 22 টিতে।

অপরদিকে রাজ্যে বিজেপি 2 থেকে বাড়িয়ে 18 টি আসন নিজেদের ঝুলিতে ভরাতে সক্ষম হয়। আর দলের এহেন ভরাডুবিতে ফলাফল পর্যালোচনা করতে গিয়ে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, এবারে বামেদের সিংহভাগ ভোটই বিজেপিতে গিয়ে পড়েছে। তাই তৃণমূল তাদের ভোট বাড়ালেও বিজেপি বেশিরভাগ আসনে জয়লাভ করেছে। কিন্তু শুধুই কি বামের ভোট রামে যাওয়া? নাকি তৃণমূলের ভেতরও অন্তর্ঘাতের জন্য অনেক আসনে জয় সম্ভব হয়নি শাসকদলের?

সূত্রের খবর, ফলাফল প্রকাশের অনেক আগে থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কালীঘাটের অফিসে বহু প্রার্থী তাদের নির্বাচনী অভিজ্ঞতার কথা জানাতে শুরু করেছিলেন। যেখানে বহু কেন্দ্রে তৃণমূলের একাংশ অন্তর্ঘাতে জড়িয়ে দলকে হারানোর চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন অনেকে। আর ফলাফল প্রকাশের পর এখন সেই দলীয় স্তরে অন্তর্ঘাতই বড় ভাবাতে শুরু করেছে রাজ্যের শাসক দলকে।

বস্তুত, এবারের নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং জঙ্গলমহলের এলাকাগুলিতে তৃণমূল তাদের পক্ষে জয় আনার ব্যাপারে অতটা নিশ্চিত ছিল না। সেইমত সেখানকার বেশকিছু আসনে হারও হয়েছিল শাসক দলের। এদিন এই অন্তর্ঘাত প্রসঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের এক নেতা বলেন, “প্রার্থী আগেই বুঝেছিলেন। তার কাছ থেকে জেনে সংশ্লিষ্ট নেতাদের সতর্কও করা হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।”

এদিকে উত্তরবঙ্গ তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে বেশ কিছু আসন শাসক দলকে হারাতে হয়েছে। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের এক তৃণমূল প্রার্থী এই ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। তার কথায়, “যে নেতাদের গোষ্ঠী কোন্দল সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তারাই বিবাদমান গোষ্ঠীর মাথা। ফলে পরস্পরকে খাটো করতে গিয়ে দলের ক্ষতির কথাকে কেউ আমল দেয়নি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি নদীয়া এবং উত্তর 24 পরগনার মত তৃণমূলের শক্তিশালী সংগঠন থাকা জেলাগুলিতেও এবার বেশ কিছু আসলে শাসক দলের হার নিয়ে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, “নির্বাচনের প্রচার থেকে শুরু করে গণনা পর্যন্ত দায়িত্ব বন্টনে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ কাজ করেছে। ফলে নির্বাচনী সংগঠনের সঙ্গে পরিচয় নেই, এমন অনেকে ছড়ি ঘুরিয়ে দলের ক্ষতি করেছে।”

অন্যদিকে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ঘাত নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জানিয়েছিলেন সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী মানস ভুঁইয়া। কিন্তু কোনোমতেই সেখানকার বেপরোয়া নেতা বিধায়কদের সঠিক পথে আনা যায়নি বলে দাবি তৃণমূলের একাংশের। কিন্তু যেখানে খোদ নেত্রী 42 এ 42 এর স্লোগান দিয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পথ চলার কথা বলেছিলেন, সেখানে ফলাফল প্রকাশের পর একাধিক আসনে তৃণমূলের হারের পর সেই অন্তর্ঘাত ফুটে ওঠায় দলীয় স্তরের শৃঙ্খলা নিয়েই এখন উঠতে শুরু করল প্রশ্ন।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষনের কাজ চলছে। তারপরে দলনেত্রী প্রয়োজনমতো পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।” সব মিলিয়ে লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ব্যাপক ভরাডুবির পর এখন দলীয় স্তরে শৃঙ্খলা আনতে ঠিক কি পদক্ষেপ নেয় শাসক দল, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!