২১ সে জুলাই নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির জোর তরজা, জামায়াতের দিকে তাকিয়ে সব মহল কলকাতা রাজ্য July 20, 2019 আগামীকাল ২১ সে জুলাই, তৃণমূলের শহিদ দিবস। লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর এই প্রথম বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেছে তৃণমূল সরকার। আর সেই সমাবেশের প্রস্তুতি ঘিরে চূড়ান্ত বাথটা তৃণমূলের অন্দরে। নেতা কর্মীরা ছুটছে রীতিমতো। এদিকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি কী বার্তা দেন সেদিকে তাকিয়ে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। নেতা নেত্রীরা দাবি করছেন যে এবারের ২১ সে জুলাই এর সমাবেশ আগের সব সমাবেশকে ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু বিজেপির সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার এদিন অন্য দাবি করলেন।এদিন তিনি বলেন যে, “বেশ কয়েকবছর ধরে শহিদ দিবস শহিদ উৎসব হিসেবে পালন করা হচ্ছে। এটা এখন জলসায় পরিণত হয়েছে। শহিদ পরিবারের প্রতি মমতা ব্যানার্জির কোনও অনুরাগ নেই। উনি বলেছিলেন, শহিদ পরিবার বিচার পাবে।দোষীদের শাস্তি হবে। কমিশনও করেছিলেন কিন্তু 8 বছর হয়ে গেল, কমিশনের রিপোর্ট কোথায় কেউ জানে না ,শহিদের পরিবার বিচার পায়নি,মমতা ব্যানার্জিও কথা রাখেননি । আরও একটা শহিদ দিবস চলে এল- আবার পাগলু ড্যান্স হবে । এবার লোক কমবে ,কারণ, মমতার এখনকার ডাকের মাহাত্ম্য নেই ।” এদিকে শোনা যাচ্ছে যে এবারের শাহিদ দিবসের মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন ভোট গুরু প্রশান্ত কিশোর। তিনি উপস্থিত থেকে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের মন বোঝার চেষ্টা করবেন সাথেই তৃণমূলের নেতা কর্মীদের চাঙ্গা করতে সভা মঞ্চ থেকে বার্তাও দিতে পারেন। আর এদিন সেই প্রশান্ত কিশোরকেও বিঁধতে ছাড়লেন না জয়প্রকাশবাবু। তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন যে, “২১ জুলাই লোক কম হতে পারে । উত্তরবঙ্গ এখন বিজেপি-র দখলে গেছে । সেজন্য মমতা প্রশান্ত কিশোরকে বলেছেন, বিহার থেকে যদি লোক আনা যায় । আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সাথেই এদিন তিনি তৃণমূলের সিপিআইএম কংগ্রেসকে একজোট হওয়ার বার্তা দেওয়া নিয়েও মুখ খোলেন। তিনি বলেন যে, “সিপিআইএম, কংগ্রেসকে কাছে আনারও চেষ্টা করছেন । যদিও লাভের লাভ কিছু হবে না ।” এবারের শহিদ দিবসে মমতার স্লোগান EVM নয়, ব্যালট চাই । এ প্রসঙ্গে জয়প্রকাশ বলেন, “হাতে যে গণতন্ত্রহত্যার রক্ত লেগে আছে, ব্যালটের সাহায্যে কি সেটা মুছতে পারবেন ? বাংলার মানুষ দেখেছে উনি গণতন্ত্রকে কীভাবে হত্যা করছেন । সুতরাং এই শূন্যগর্ভ আওয়াজে বাংলার মানুষ ভুলছে না ভুলবেও না ।” এদিকে তৃণমূলের দাবি বিজেপি যতই বলুক এবারের জমায়েত বাকি সব বারের জমায়েতকে ফিকে করে দেবে। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে লোকসভা ভোটে কয়েকটা আসন জিতলেই বাংলার মানুষের মন জয় করা যায় না। মমতাকে বাংলার মানুষ দিদি বললেও মা মনে করে তাই মায়ের কাছ থেকে তাঁর সন্তানদের আলাদা করা যায় না। ফলে বোঝা যাচ্ছে যে, তৃণমূলের শাহিদ দিবস নিয়ে উত্তেজনা শুধুমাত্র তৃণমূলের নয় , বিরোধীদের মাধেয়ও যথেষ্ট আছে। কেননা যে বিজেপি ঝড় উঠেছে যার ফলে রাজ্য থেকে ১৮ টি আসন জিতেছে বিজেপি। সেই ঝড় এখনো অব্যাহত নাকি তৃণমূল ফের নিজেদের জায়গা ধরে রাখতে সক্ষম তা বোঝা যাবে ২১ সে জুলাই এর জমায়েত দেখে। ফলে এখন সব মহল তাকিয়ে ২১ সে জুলাই এর জমায়েতের দিকে। আপনার মতামত জানান -