এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সিপিএমের পথেই কি এগোচ্ছে তৃণমূল! গুঞ্জন সর্বত্র

সিপিএমের পথেই কি এগোচ্ছে তৃণমূল! গুঞ্জন সর্বত্র

এবারের লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 42 এ 42 এর স্লোগান কাজে দেয়নি। গেরুয়া শিবিরের উত্থানে তৃণমূল 22 টি আসন পেলেও বিজেপি 18 টা আসন পেয়ে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে শুরু করেছিল। যাতে কিছুটা হলেও চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেননা কিছুদিন পরেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন।

তাই সেই বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে যখন লোকসভায় প্রায় 18 টার মত আসন দখল করছে বিজেপি, তখন তাদের নেক্সট টার্গেট বিধানসভায় যাতে তৃণমূল সেই বিজেপিকে পেছনে ফেলে সামনের সারিতে এগিয়ে আসতে পারে, তার জন্য ভোটগুরু হিসেবে পরিচিত প্রশান্ত কিশোরকে নিজের দলের পরিকল্পনার জন্য নিয়োগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বস্তুত, এবারে তৃণমূলের ভরাডুবির পেছনে নেতাদের দুর্নীতি, দুর্ব্যবহার এবং নীচুতলায় সংগঠন ঠিকমত না থাকাই প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে। যার ফলে 42 এ 42 স্লোগান তুলেও 22 এ থেমে যেতে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে। আর এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই তৃণমূলকে ঘুরে দাঁড় করানোর জন্য দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোর। কাটমানি ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তা, দলে বেশ কিছু বিতর্কিত নেতাকে কিছুটা পিছনের সারিতে ফেলে দেওয়া, দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি মানুষের সামনে তুলে ধরা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাঝেমধ্যেই বিতর্কিত মন্তব্যের প্রবণতা কমা, প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশেরই অন্যতম লক্ষণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এবার বাংলায় নিজেদের সংগঠনকে মজবুত করতে সিপিএম এবং বিজেপির পথেই হাঁটতে চলেছে ঘাসফুল শিবির। প্রসঙ্গত, এতদিন তৃণমূলের কোনো সংগঠন নেই বলে প্রায়শই অভিযোগ উঠতে দেখা যেত। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে যাতে বুথভিত্তিক সেই সংগঠনকে চাঙ্গা করা যায়, তার জন্য এবার হোল টাইমার নিয়োগ করতে পারে তৃণমূল বলে জানা গেছে। মূলত, রাজ্য 34 বছর ক্ষমতায় থাকা বামেরা এই নীচুতলায় সংগঠনের জেরেই বাংলার মসনদে দীর্ঘকাল থাকতে পেরেছে।

শুধু তাই নয়, বর্তমানে বাংলায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বিজেপিও বুথভিত্তিক সংগঠনের দিকে বাড়তি নজর দিতে শুরু করেছে। যেখানে বুথে বুথে বিভিন্ন কার্যকর্তাকে দায়িত্ব দিচ্ছে তারা। আর তাই এবার সেই বুথভিত্তিক সংগঠনে সিপিএম ও বিজেপির পথেই হাঁটতে পারে তৃণমূল বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

সূত্রের খবর, আগামী 29 জুলাই বেলা দুটোয় নজরুল মঞ্চে রাজ্যের সমস্ত জেলার তৃণমূলের জেলা সভাপতি, বিধায়ক এবং ব্লক সভাপতিদের একটি বৈঠকে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আর সেই বৈঠকেই দলের হোলটাইমার নিয়োগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারেন তৃণমূল নেত্রী বলে খবর।

জানা গেছে, প্রতি বুথে চারজন করে সর্বক্ষণের কর্মী নিয়োগ করতে চলেছে তৃণমূল। যেখানে বেতনভুক্ত এই কর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের দায়িত্বে যেমন থাকবেন, ঠিক তেমনই চারজনের পৃথক পৃথক দায়িত্ব থাকবেন। যারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তার ছবি এবং ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠাবেন। সব মিলিয়ে রাজ্যজুড়ে প্রায় 3 লক্ষের বেশি হোলটাইমার নিয়োগ করতে চলেছে তৃণমূল।

কিন্তু সমালোচকদের একাংশের প্রশ্ন, দলের সংগঠনকে মজবুত করার যদি এতই সদিচ্ছা দলীয় নেতৃত্বের থাকত, তাহলে কি এই নিয়ম অনেক আগে করা যেত না! যখন রাজ্যে বিজেপির এই বাড়বাড়ন্ত, যখন তৃণমূলের থেকে কিছুটা হলেও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে সাধারণ মানুষ, তখন শাসকদলের এই বিলম্বিত বোধোদয় আদৌ কতটা কার্যকর হয়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!