এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মধ্যপ্রদেশের পর এবার গুজরাটের কংগ্রেসেও অন্তর্দ্বন্দের ছায়া

মধ্যপ্রদেশের পর এবার গুজরাটের কংগ্রেসেও অন্তর্দ্বন্দের ছায়া

মধ্যপ্রদেশের ক্ষত এখনো শুকায়নি। প্রায় খাদের ধারে দাঁড়িয়ে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস। অপেক্ষা করছে সরকার পড়ার। অবস্থা সামলাতে না সামলাতেই এবার গুজরাট কংগ্রেসে দেখা গেল বড়োসড়ো ভাঙন। রাজ্যসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস দল থেকে ইস্তফা দিলেন চার বিধায়ক। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা, গুজরাটে কংগ্রেসে বড়সড় ফাটল ধরতে পারে। অন্যদিকে, কংগ্রেসের ভয় রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বিধায়করা ক্রস ভোটিং করতে পারেন।

উল্লেখ্য, গুজরাটে অবশ্য ক্ষমতায় নেই কংগ্রেস। কিন্তু রাজ্যসভার নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব আবারও সামনে এলো এই ঘটনায়। সম্প্রতি বিজেপি থেকে দাবি করা হয়েছিল, গুজরাটের কংগ্রেস বিধায়কদের মধ্যে তাঁদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছেন বেশ কিছুজন। চার বিধায়কের ইস্তফার ঘটনা সেদিকেই ইঙ্গিত করছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে মনে করা হচ্ছে, রাজ্যসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের ভাঙ্গন বিজেপি শিবিরে খুশির হাওয়া বয়ে আনতে পারে।

যদিও কংগ্রেস অভিযোগ জানিয়েছে, বিজেপি শিবির থেকে বিধায়ক কেনাবেচা করা হবে। বিজেপি অবশ্য এই অভিযোগ সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে এদিন গুজরাটের উপমুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেল জানিয়েছেন,’আমি তো জানি যে আরও অনেক কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা পত্র জমা দেওয়ার জন্য তৈরি রয়েছেন। এরপর সেই বিধায়করা যদি আমাদের দলে যোগ দিতে চান আমরা তাঁদের স্বাগত জানাব। আপাতত আমরা শুধু পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।’

আর এর পরেই তিনি কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব ইস্যুকে সামনে এনে বলেন, ‘দেখুন, আমি আগেও বলেছই, আবারও বলছি। এই পরিস্থিতি কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব থেকে উপনীত হয়েছে। এতে আমাদের দলের কোনও হাত নেই। তবে এই কংগ্রেস বিধায়কদের অনেকেই বিজেপির কাজে সন্তুষ্ট। এবং দলের মতবাদের সঙ্গে নিজেদের মিল খুঁজে পাচ্ছেন বলে তাঁরা আমাদের দলে যোগ দিতেও ইচ্ছুক। যারা আমাদের দলে যোগ দিতে চান তাঁদের দল স্বাগত জানাবে।’ এবার গুজরাত বিধানসভাও দাঁড়িয়ে পরল অংকের উপর ভিত্তি করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

182 সদস্যের গুজরাট বিধানসভায় চারজন কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায় কংগ্রেসের শক্তি 73 থেকে কমে হল 69। বিধায়ক কেনাবেচা এড়াতে ইতিমধ্যে কংগ্রেস তাদের 14 জন বিধায়ককে সরিয়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, গুজরাট বিধানসভায় বিজেপি বিন্দুমাত্র কষ্ট না করে দুজন প্রার্থীকে অনায়াসে জিতিয়ে আনতে পারবেন। কিন্তু বিজেপির তরফ থেকে তিনজন প্রার্থীর মনোনয়ন পেশ করা হয়েছে। এই তিনজন প্রার্থী হলেন অভয় ভরদ্বাজ, রমিলা বারা এবং নরহরি আমিন।

তৃতীয় এবং শেষ প্রার্থীকেই জেতানোর জন্য বিরোধীপক্ষের ভোটের প্রয়োজন বিজেপির। অন্যদিকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি মাত্র আসনের মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়েছে। দাঁড়িয়েছেন ভরতসিন সোলাঙ্কি। এবার পর পর যদি কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দেন, তাহলে খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস মারাত্মক চাপে পড়বে বলে অনুমান রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। তবে বিধায়কদের ইস্তফা প্রসঙ্গ সোজাসুজি অস্বীকার করেছে কংগ্রেস।

সূত্রের খবর, গুজরাটে কংগ্রেস নিজের ক্ষমতায় দুটি আসন জিততে পারতো। কিন্তু বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের জন্যও সেই অংক অনেকটাই জটিল হয়ে গেল। আগামী 26 শে মার্চ রাজ্যসভার নির্বাচন হলে ভোটের পরেই বোঝা যাবে কংগ্রেস কতটা সফল হয় বিক্ষুব্ধদের বাগে আনতে। তবে বিজেপি আশাবাদী কিছু কংগ্রেস বিধায়ক ক্রস ভোটিং করার ফলে শেষ পর্যন্ত তাঁদের তৃতীয় প্রার্থী অবশ্যই জয়লাভ করবেন। আপাতত পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!