এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরানোর মাশুল? পদ খোয়ালেন রুদ্রনীল, জেনে নিন

তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরানোর মাশুল? পদ খোয়ালেন রুদ্রনীল, জেনে নিন


বেশ ভালই চলছিল সবকিছু। কিন্তু সম্প্রতি তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে বিশিষ্ট অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের। শাসকদলের একুশে জুলাইয়ের শহীদ সমাবেশে তার অনুপস্থিতি এবং কাটমানি নিয়ে তার মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল। আর এরই ফলস্বরূপ কি এবার বড়সড় মাশুল দিতে হল সেই রুদ্রনীলকে!

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার নরসিংহ দত্ত কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির পদ থেকে এই বিশিষ্ট অভিনেতাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আর যে ঘটনা নিয়েই এখন শুরু হয়েছে জল্পনা। একাংশের মতে, কিছুদিন আগে থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করা শুরু করেছিলেন এই রুদ্রনীল ঘোষ। একসময় সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের দাপুটে নেতা রুদ্রনীলবাবু সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের পরেই তৃণমূল নেত্রী তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন।

কিন্তু সম্প্রতি নানা ইস্যুতে তার মন্তব্য তৃণমূলকে বড়ই বিপাকে ফেলেছিল। যেমন, প্রতিবার একুশে জুলাইয়ের তৃনমূলের শহীদ সমাবেশে তিনি উপস্থিত থাকলেও এবারে তিনি কেন সেখানে যাননি! সেই প্রশ্ন করলে রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, “দিন দুয়েক আগে থেকে আমার কাছে সমাবেশে যাওয়ার জন্য ফোন আসতে থাকে। কিন্তু আমি ফোন ধরিনি। কারণ যেভাবে সবকিছু চলছে তা ঠিক হচ্ছে না।

আর আমি রাজনৈতিক কর্মী নই, সমর্থক মাত্র। ওখানে গেলে ভুলটাকেই সমর্থন করা হত। 2019 এর নির্বাচনে আমি তারকা প্রচারকের লিস্টে ছিলাম না। যাদের ডাকা হয়েছিল তাদের অনেকেরই রাজনৈতিক অবদান শূন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে সংগ্রাম দেখে আকৃষ্ট হয়েছিলাম তা পরিবর্তিত। কালীঘাট এবং তার কাছাকাছি পাড়ার কিছু নেতা তাকে যা বলেন, উনি সেটাই বিশ্বাস করেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, কাটমানি নিয়ে মুখ খুলেও তৃনমূলকে বিপাকে ফেলে দিয়েছিলেন অভিনেতা। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “স্থানীয় নেতাদের দুর্ব্যবহার এবং মানুষের থেকে দলের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া আজকাল আর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্পর্শ করে না। তিনি কিছু বাছাই করা লোকের কথা শুনছেন। তার নির্দেশ মেনে এই দলের বিভিন্ন নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের কাটমানি ফেরত দিতে দেখা যাচ্ছে। এর ফলে মানুষের কাছে এই ধারণা স্পষ্ট হচ্ছে যে, এতদিন কাঠমানিতেই দল চলত। কাটমানির বিকল্প হিসেবে ব্ল্যাকমানি ইস্যুটিকে তুলে আনা আমি সমর্থন করি না।”

এদিকে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে পরিচিত রুদ্রনীল ঘোষের এহেন মন্তব্যের পরই রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনা তৈরি হয়। তাহলে কি রুদ্রনীলবাবু তার শিবির বদলাতে চলেছেন! এই প্রশ্নও তুলতে শুরু করেন অনেকে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি পদ থেকে সেই রুদ্রনীল ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া শাসকের নিন্দা করারই মাশুল দিতে হল বলে মনে করছে বিশ্লেষক মহলের একাংশ।

যদিও বা এমন দাবি মানতে নারাজ কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, গত 11 জুন এই পরিচালন সমিতির সভাপতি পদে রুদ্রনীল ঘোষের 4 বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাই ওই গভর্নিং বডি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে সেই নতুন কমিটিতেও জায়গা পাননি এই বিশিষ্ট অভিনেতা। সব মিলিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করার জন্যই কি রুদ্রনীল ঘোষকে কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল! এখন এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে সর্বত্র।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!