এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ, এদিকে চোরেদের বাঁচাতে ব্যাস্ত তৃনমূল ! কোথায় মমতা প্রশাসন ?

ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ, এদিকে চোরেদের বাঁচাতে ব্যাস্ত তৃনমূল ! কোথায় মমতা প্রশাসন ?


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ডেঙ্গি পরিস্থিতি কার্যত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গোটা রাজ্যে একের পর এক মানুষের মৃত্যু জঞ্জাল পরিষ্কারের দিকে সরকারের অমনোযোগী বিষয়কে দায়ী করছে। আবার অনেকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গাফিলতি নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। তবে এই সমস্ত কিছুর দিকে নজর নেই রাজ্য সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী চলে গিয়েছেন বিদেশে। আর যে সমস্ত প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা রাজ্যে রয়েছেন, তারা সকলেই বিরোধীদের মিটিং, মিছিল আটকাতে ব্যস্ত। শুধু তাই নয়, বিরোধীরা কটাক্ষ করে এটাও বলছেন, দুর্নীতি যে প্রবল পরিমাণ হয়েছে রাজ্যে, তার পরেও লজ্জা নেই শাসকদলের। এখনও তারা সেই দুর্নীতির মোহ জালে ডুবে রয়েছে। তাই কেউ দুর্নীতি করতে, আবার কেউ দুর্নীতির জন্য যে তদন্ত হচ্ছে, সেই তদন্ত আটকাতে ব্যস্ত। ফলে ডেঙ্গি পরিস্থিতির দিকে প্রশাসন থেকে শুরু করে শাসক দল, কারোরই নজর নেই।

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককালে ডেঙ্গির এই ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখতে হয়নি রাজ্যের মানুষকে। কিন্তু এবার ধীরে ধীরে তা বিপদজনক আকার নিতে শুরু করেছে। উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গ, সর্বত্র এই ডেঙ্গির প্রকোপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এদিন সেই বিষয় নিয়েই শাসকদলকে কটাক্ষ করেছেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম‌। তিনি বলেন, “ডেঙ্গি পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। কিন্তু সেদিকে কারওর নজর নেই। কারণ তৃণমূলের নেতারা এবং প্রশাসন কেউ দুর্নীতি করতে ব্যস্ত। আবার কেউ বা দুর্নীতির জন্য যে তদন্ত হচ্ছে, সেই তদন্ত আটকাতে ব্যস্ত। ফলে তারা সেই সমস্ত কিছুতে ব্যস্ত রয়েছেন। আর হাসপাতালগুলোর পরিষেবা অত্যন্ত খারাপ।” স্বভাবতই সিপিএম নেতার এই মন্তব্য যে কাঁটার মতো ফুটতে শুরু করেছে তৃণমূলের গায়ে, সেই ব্যাপারে দ্বিমত নেই কারও মধ্যেই।

একাংশের মতে, বাইরে গিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার প্রশাসন নাকি সর্বসেরা! সমস্ত সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে বাংলা নাকি এক নম্বর! কিন্তু বিদেশের মাটিতে যখন তিনি এত বড় বড়াই করছেন বাংলাকে নিয়ে, তখন তার বাংলাতেই ডেঙ্গির প্রকোপে মারা যাচ্ছেন একের পর এক মানুষ। অথচ তার অবর্তমানে যিনি রাজ্যের দায়িত্বে রয়েছেন, শোনা যাচ্ছে, একজন প্রশাসনিক কর্তাকে তিনি দায়িত্ব দিয়েছেন। যাকে দুর্ভাগ্যজনক বলেই আখ্যা দিচ্ছে বিরোধীরা। কিন্তু সেই প্রশাসনিক কর্তাও পরিস্থিতি সামলাতে অপারগ। যার কারণে এই বিপদের দিনে সাধারন মানুষের পাশেকে দাঁড়াবে, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্যের প্রশাসন একমাত্র বিরোধীদের আটকানোর দিক থেকে শ্রেষ্ঠ। কিভাবে মিটিং মিছিলে বাধা দিতে হয়, কিভাবে বিরোধী নেতা কর্মীদের মিথ্যে মামলা দিতে হয়, তাতে এই রাজ্যের প্রশাসনের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু সাধারণ মানুষের বিপদে তাদের কাউকে পাশে পাওয়া যায় না। হাসপাতাল গুলোর পরিষেবা কেন এত খারাপ! সেই নিয়ে প্রশ্ন করতে গেলেই হয়ত বিরোধী নেতা কর্মীরা শাসকের রোষানলে পড়বেন। এই শাসককে কিছু বলা যাবে না। তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না‌। তাহলেই যে প্রশ্ন করবে, তাকে মিথ্যে মামলা দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। এই চলছে রাজ্যের ট্র্যাডিশন। কিন্তু তারপরেও অবিচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠবেই। তাই শেষ পর্যন্ত বিরোধীদের পক্ষ থেকে ডেঙ্গির ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে যে, কোথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মানবদরদী প্রশাসন? কেন পরিস্থিতি সামলাতে দেখা যাচ্ছে না প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তি এবং 24 ঘন্টা মানুষের পাশে থাকার বড়াই করা তৃণমূলের নেতারা? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!