এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফের পাহাড় প্রমান দুর্নীতি প্রকাশ্যে, রাজ্যকে এ কোন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন মমতা ? চিন্তার ভাঁজ সর্বত্র !

ফের পাহাড় প্রমান দুর্নীতি প্রকাশ্যে, রাজ্যকে এ কোন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন মমতা ? চিন্তার ভাঁজ সর্বত্র !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নিয়োগ দুর্নীতি দিয়ে শুরু হয়েছে। আর এবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেই দুর্নীতির বিষয় সামনে আসছে রাজ্যে। বর্তমানে একটি মহিলা ঋণদান সমিতিতেও ৫০ কোটির বেশি দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে‌। যা নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি রীতিমতো রাজ্যকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তবে তাতেও রাজ্য সরকার কতটা লজ্জিত হবে, সেটা অনেক বড় প্রশ্নের বিষয়। মানুষ যে আশা নিয়ে এই সমবায় ব্যাংকগুলিতে তাদের গচ্ছিত অর্থ রাখেন, সেখানেও এবার দুর্নীতি থাবা বসিয়ে ফেলল। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকেও সেই সমবায় ব্যাংকের জালিয়াতি থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতনতার বার্তা দিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার‌। বুঝিয়ে দিলেন, সমবায় নয় এখন থেকে সাধারণ মানুষ সমস্ত অর্থ রাখুন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে।

প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ারের একটি মহিলা ঋণদায় সমিতিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আর সেখানেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তের ভার দিলেও রাজ্য তাদের সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ। যা নিয়ে রাজ্যকে রীতিমতো সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর সেই বিষয়েই বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “সমবায়ের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। অর্থ গুলো অবৈধ হয়ে যাচ্ছে। আজকে সমবায়ের করুণ পরিস্থিতির জন্যই অরূপ রায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মন্ত্রীপদ থেকে। আমরা সাধারণ মানুষকে বলব, সমবায় ব্যাংকে কম টাকা রাখুন। সমস্ত টাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে রাখুন।” অর্থাৎ দিনের শেষে একটা জিনিস পরিষ্কার যে, রাজ্যের সর্বত্র একটা দুর্নীতির কালো ছায়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যার ফলে সমালোচকরা প্রশ্ন করছেন, রাজ্যকে আর কোন ভয়ংকর জায়গায় নিয়ে যাবে এই সরকার এবং তাদের মুখ্যমন্ত্রী? প্রত্যেকটি জায়গায় দুর্নীতির যে গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে, তা থেকে কবে মুক্তি পাবে সোনার বাংলা?

বলা বাহুল্য, কিছুদিন আগেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে সমবায় দপ্তর থেকে অরূপ রায়কে সরিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর সেই বিষয়টি তুলে ধরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি বুঝিয়েছেন যে, রাজ্যের সমবায় ব্যাংকগুলোতে কি করুন পরিস্থিতি। সত্যিই তো তাই! উত্তর থেকে দক্ষিণ, বিভিন্ন জায়গায় সমবায় ব্যাংকগুলোর মাথার উপর এমন ভাবে তৃণমূলের নেতাদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আজকে সেখানে মানুষ তাদের গচ্ছিত অর্থ রাখতেও ভয় পাচ্ছেন! আর যে দুর্নীতি উঠেছে, সেখানে সহযোগিতা করা তো দূরের কথা, বরঞ্চ চালাকি করার চেষ্টা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। বিচারপতিও সেই বিষয়েই ইঙ্গিত করেছেন। ফলে যারা সমবায় ব্যাংকের উপর ভরসা রাখেন, তাদের কপালেও এখন চিন্তার ভাঁজ দেখা দিচ্ছে। তেমনটাই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সরকার কি কোনো বিষয়ে মানুষকে সঠিক বিশ্বাস জোগাতে পারবে না? নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কি পরিস্থিতি হয়েছে রাজ্যে! আজকে বিদেশের মাটিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অনেক বড় বড় কথা বলছেন। কিন্তু রাজ্যে যে দুর্নীতির আঁতুড়ঘর তৈরি হয়েছে, তা থেকে সকলের মুখ ঘোরাতে ব্যাস্ত কেষ্ট বিষ্টুরা। কি হবে একের পর এক দুর্নীতি করে সোনার বাংলার বিভিন্ন ব্যাবস্থা ভেঙে দিয়ে? আখেরে তো ক্ষতি হবে শাসকেরই। কেন তা বুঝতে পারছেন না রাজ্য সরকারের হর্তা কর্তা বিধাতারা! মানুষের টাকা লুট করার যে ষড়যন্ত্র গোটা রাজ্যজুড়ে তৈরি হয়েছে, যেভাবে মানুষ ভয় পাচ্ছেন, তা থেকে সমবায় তো নতুন দিশা দেখাতেই পারতো। কিন্তু সেখানেও যেভাবে প্রশ্ন উঠছে, তাতে জনতা জনার্দন কি করবে, কোথায় যাবেন তারা? তাদের দুঃখ মোছানোর জন্য কতটা সচেষ্ট হবে মা মাটি মানুষের সরকার? সেটাই বড় প্রশ্ন। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!