আদালতের সঙ্গেও চালাকি মমতার ? জাস্টিস গাঙ্গুলীর ডোজে টালমাটাল রাজ্য ! ঢোক গিলছেন আমলারা ! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য September 16, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তার একের পর এক নির্দেশ তৃণমূল সরকারের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। বিড়ালের গলায় কি করে ঘন্টা বাঁধতে হয়, আর কি করে দুর্নীতির রহস্য ভেদ করতে হয়, তার পথ দেখিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর এবার একটি মহিলা ঋণদান সমিতির দুর্নীতির ঘটনায় আবার চমকে দিলেন জাস্টিস গাঙ্গুলী। যেভাবে এই ঘটনাতেও রাজ্য সরকার চালাকি করে তদন্তকে আটকে রাখতে চাইছে, তা ধরে ফেললেন তিনি। তারিখ দিয়ে জানিয়ে দিলেন, সঠিক সময়ের মধ্যে যদি তদন্তকারী সংস্থার হাতে সমস্ত তথ্য তুলে না দেওয়া হয়, তাহলে চরম মাশুল চোকাতে হবে রাজ্যকে। আর বিচারপতির এই মন্তব্য নিয়ে রীতিমত চাপে পড়ে গিয়েছে রাজ্য সরকার। আমলারাও ঢোক গিলতে শুরু করেছেন। প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ারের একটি মহিলা ঋণদান সমিতিতে প্রায় 50 কোটি টাকার বেশি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনায় দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের কোনোরূপ সহযোগিতা করা হয়নি বলে অভিযোগ। আর সেই বিষয় নিয়েই এদিন কার্যত রাজ্যকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি। তার স্পষ্ট বার্তা, আগামী 18 সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিবিআই এবং ইডির হাতে সমস্ত নথি তুলে দিতে হবে। আর যদি তা না করা হয়, তাহলে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে ডেকে পাঠাবেন তিনি। শুধু তাই নয়, এই দুর্নীতির ঘটনায় রাজ্য সরকার চালাকির আশ্রয় নিচ্ছে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি। একাংশের মতে, একের পর এক দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক রায় দিয়ে বেকার যুবক যুবতীদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অনেকেই তাকে ঈশ্বরের জায়গায় বসিয়েছেন। তৃণমূলের অনেক বড় বড় মুখপাত্ররা অবশ্য তাকে সহ্য করতে পারেন না। নাম না করে তার বিরুদ্ধে অনেক কথা বলেন। কিন্তু আবারও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেভাবে কারও পরোয়া না করে রাজ্যকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি, তা কার্যত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। দুর্নীতির যে অভিযোগ এই মহিলার ঋনদান সমিতি থেকে উঠেছে, সেখানে প্রতারিতদের পাশে দাঁড়িয়ে অন্যায়ের যে কোনো স্থান নেই, তা স্পষ্ট করলেন জাস্টিস গাঙ্গুলী। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনায় দুর্নীতি যে হয়েছে, তা হয়তো রাজ্য বুঝতে পেরেছে। সেই কারণে বিচারপতি নির্দেশ দেওয়ার পরেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তথ্য তুলে দেওয়ার ব্যাপারে কোনোরূপ সহযোগিতা করেনি রাজ্য সরকার। ফলে বিচারপতি রাজ্যের এই চালাকি ধরে ফেলেছেন। যার জেরে রীতিমতো নির্দিষ্ট তারিখ দিয়ে তিনি কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে ফেললেন। তবে রাজ্য এখন কি করে, তা দেখার বিষয়। বিচার ব্যবস্থার সঙ্গেও রাজ্যের এই চালাকি কার্যত দুর্ভাগ্যজনক বলেই দাবি বিরোধীদের। পাশাপাশি যে সমস্ত সরকারি আমলারা এই গোটা ঘটনায় চালাকি করার চেষ্টা করেছেন, তাদের সামনে সমূহ বিপদ। ইতিমধ্যেই সেটাও নবান্নের বড় বড় কর্তারা অনুমান করতে শুরু করে দিয়েছেন। স্বভাবতই জাস্টিস গাঙ্গুলির এই কড়া ডোজে রীতিমতো টালমাটাল নবান্ন। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -