এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মোদী-শাহের কাশ্মীর নীতির বিরোধিতায় ভারতের জাতীয় পতাকাকেই চরম অসম্মান মেহেবুবার, তীব্র বিতর্ক

মোদী-শাহের কাশ্মীর নীতির বিরোধিতায় ভারতের জাতীয় পতাকাকেই চরম অসম্মান মেহেবুবার, তীব্র বিতর্ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ফের দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে কোনো আক্রমনাত্মক মন্তব্য করতে দেখা গেল জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতিকে। প্রায় 14 মাস বন্দী থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেলেন তিনি। আর মুক্তি পেয়েই ভারতীয় জনতা পার্টিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। স্বভাবতই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সেই জম্মু-কাশ্মীরে। সূত্রের খবর, এদিন বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মেহেবুবা মুফতি।

তিনি বলেন, “দেশ সংবিধানের ভিত্তিতে চলবে। বিজেপির ইশতেহারের ভিত্তিতে নয়। যে সংবিধানে আমি বিশ্বাস করতাম, তাকে অসম্মানিত করা হয়েছে। ভোট চাইবার জন্য বিজেপির কাছে দেখানোর মত কিছু নেই। তাই তারা 370 ধারার উত্থাপন করছে। যতদিন না কাশ্মীরের পৃথক পতাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে, ততদিন জাতীয় পতাকাকে সম্মান করা হবে না।”

স্বাভাবিক ভাবেই জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এহেন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এখন তীব্র বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বারবার কাশ্মীরকে নিয়ে যেখানে আন্দোলন এবং উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানে মুক্তি পাওয়ার পরেই যেভাবে আবার কাশ্মীরের জন্য পৃথক পতাকা দাবি করলেন সেখানকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, তাতে বিজেপি অনেকটাই চাপে পড়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেখানে প্রচারে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেখান থেকেই 370 ধারার কথা তুলে ধরেন তিনি। আর সেই প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। মেহেবুবা মুফতি বলেন, “ওরা বলেছিল আপনারা জম্মু-কাশ্মীরে জমি কিনতে পারবেন। আমরা 370 ধারা তুলে দিয়েছি‌। এবার ওরা বলছে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী 370 ধারার উল্লেখ করে ভোট চেয়েছেন।দেশের সমস্যা সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে জম্মু-কাশ্মীরের জন্য পৃথক পতাকা দেখিয়ে এটাই কাশ্মীরের পতাকা বলে দাবি করেন মেহেবুবা মুফতি। তিনি বলেন, “আমাদের পতাকা ফিরে পেলে আমরা আবার তেরেঙ্গাকে হাতে তুলে নেব।” অর্থাৎ জম্মু-কাশ্মীরকে পৃথক ভাবে যে স্বীকৃতি দিতে হবে, তা তার কথা থেকে আরও একবার উঠে এল বলেই মনে করা হচ্ছে. স্বাভাবিক ভাবেই মেহেবুবা মুফতির এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে জম্মু কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যে কিছুটা হলেও বেকায়দায় পড়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুক্রবার বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, “সকলেই অপেক্ষায় ছিলেন, কবে 370 ধারা উঠবে! কিন্তু কেউ কেউ বলেছিলেন, ক্ষমতায় এলে ওটা আবার ফিরিয়ে নেওয়া হবে। তারপরেও তারা বিহারে ভোট চাওয়ার সাহস পায় কিভাবে! এটা বিহারের অপমান নয়!” স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে বিরোধীদের কটাক্ষ করেই এই মন্তব্য করেছিলেন, তা বুঝতে বাকি ছিল না কারোরই।

তিনি এই মন্তব্য করার পরবর্তীতে যেভাবে কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথক পতাকার দাবি করলেন, তাতে নিঃসন্দেহে নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় সরকার অস্বস্তিতে পড়ে গেল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। আর বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে মেহেবুবা মুফতির এই ধরনের মন্তব্য বিজেপিকে কিছুটা হলেও বেকায়দায় ফেলে দেবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!