এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কি হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ? বিস্ফোরক দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর

কি হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ? বিস্ফোরক দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর


বাংলায় লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস আওয়াজ তুলেছিল – ২০১৯ বিজেপি ফিনিশ, বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ! অর্থাৎ বাংলা থেকে ৪২ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৪২ টিই ছিনিয়ে ঘাসফুল শিবির। শুধু তাই নয়, তৃণমূল নেত্রী স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বাংলা যদি তাঁকে ৪২ টি আসন উপহার দেয়, তাহলে হয়ত দিল্লির মসনদে প্রথম বাংলায় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বসবেন তিনিই। আর এই নিয়ে তুমুল প্রচার শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা।

কিন্তু, সেই সময়েই পাল্টা বিজেপি দাবি করে – উনিশে হাফ আর একুশে সাফ! অর্থাৎ ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপি ২১ টি লোকসভা আসন ছিনিয়ে নেবে আর ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারকে পুরোপুরি উৎখাত করে ফেলবে! বিজেপির সেই স্লোগান শুনে তখন হেসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস! ঘাসফুল শিবিরের দাবি ছিল, বাংলায় বিজেপির কোনো জনভিত্তি নেই, ৪২ টা লোকসভা জেতা তো দূরের কথা, বিজেপি নাকি ৪২ টি বুথেও জিততে পারবে না!

কিন্তু লোকসভার রেজাল্ট বেরোতেই দেখা গেল, পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে তৃণমূলের! বাংলা থেকে ১৮ টি আসন জিতে নিয়ে তৃণমূলের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস শিবির। আর তখনই ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে বাংলায় বিজেপি আছেই এবং বেশ প্রবলভাবেই আছে। ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের তৃতীয়বারের ক্ষমতায় ফেরা এতটাও সহজ হবে না! কিন্তু রাজনীতির কারবারিদের মনে একটাই প্রশ্ন, লোকসভা আর বিধানসভা তো আলাদা প্রেক্ষাপটের! সেক্ষেত্রে কি আদৌ নবান্নের রঙ গেরিয়া হওয়া সম্ভব?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আজ দ্বিতীয় মোদী সরকারের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে এক সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলে এই নিয়ে মুখ খোলেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। ওই অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সঞ্চালক অমিত শাহের কাছে জানতে চান, আগামীদিনে যে দুটি বড় রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে – সেই বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে কি হবে? করোনা আবহে আদৌ কি সেখানে নির্বাচন হওয়া সম্ভব? আর নির্বাচন হলে সেখানে বিজেপির ভবিষ্যৎ ঠিক কি?

অমিত শাহ এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বড় রাজ্যের ভোট সাধারণত আটকায় না। তবে বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে এই পরিস্থিতিতে ভোট হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তবে নির্বাচন হলে, বিহারে আমাদের অবস্থা বেশ ভালো এবং পশ্চিমবঙ্গে আমরা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসব। এদিন তিনি যে আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে তাঁর মনোভাব জানিয়েছেন, তা শুধুমাত্র রাজনীতির কথা বলতে হয় বলে বলা নয় বলেই দাবি করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু, বাংলায় ২০১৯-এর আগে সেভাবে নজেপির ভোটব্যাঙ্ক ছিল না। অন্যদিকে, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করে থাকে বামের ভোট রামে গিয়েই লোকসভায় সাফল্য। তাহলে, সেই অর্থে বাংলায় বিজেপির ‘ডেডিকেটেড ভোটব্যাঙ্ক’ আছে কি? সেক্ষেত্রে কোন কৌশলে বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। এর জবাবে অমিত শাহ জানান, পশ্চিমবঙ্গ দখলের কৌশল দল ঠিক করবে। এটুকু বলতে পারি দল সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন জিততে। আর নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষমতায় আসব আমরা।

কিন্তু, কেন বাংলা দখলের জন্য এত মরিয়া তিনি? এই প্রশ্নের জবাবে অমিত শাহ জানান, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে অদ্ভুতভাবে হিংসার সংমিশ্রণ ঘটেছে। ৩৪ বছরের কমিউনিস্টদের শাসনের যে হিংসার ব্যবহার ছিল, মমতা দিদির ১০ বছরের জমানো তো সেই একই হিংসা চলেছে। অনেকটা কেরলের মতোই হিংসার সংস্কৃতি রয়েছে বাংলায়। সেই হিংসাই রুখতে হবে আমাদের। আর অমিত শাহের এই সাক্ষাৎকারের পর স্বাভাবিকভাবেই ফেরুয়া শিবিরের মনোবল অনেকটাই বেড়েছে। তবে এখন ‘সর্বশক্তি প্রয়োগ’ করার পরে, সত্যিই কি বিজেপি বাংলা থেকে প্রবল প্রতাপশালী তৃণমূল কংগ্রেসকে সরাতে পারবে? সেই উত্তরের খোঁজেই রয়েছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!