এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে এবার তৃণমূলের ঘুম ওড়াতে বড়সড় আন্দোলনের পথে বামেরা! বাড়ছে জল্পনা

পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে এবার তৃণমূলের ঘুম ওড়াতে বড়সড় আন্দোলনের পথে বামেরা! বাড়ছে জল্পনা


করোনা ভাইরাসের কারণে অনেক মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভায় বর্তমানে নির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে শাসক থেকে বিরোধী বিভিন্ন পৌরসভায় বিদায়ী বোর্ডের যারা মেয়র বা চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন, তারা বর্তমান বোর্ডের প্রশাসকের দায়িত্বে থাকছেন। সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভা মেয়াদ শেষ হয়েছে। আর এর পরেই সেই পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেখানকার বিদায়ী চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকারকে।

পাশাপাশি কাউন্সিলার না হওয়া সত্ত্বেও, সেই পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ অর্পিতা ঘোষ এবং গঙ্গারামপুরের বিধায়ক গৌতম দাসকে। এছাড়াও গঙ্গারামপুর পৌরসভার দুজন বিদায়ী কাউন্সিলারকেও এই প্রশাসক বোর্ডের সদস্য করেছে রাজ্য সরকার। আর এবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভার এই প্রশাসক বোর্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাস্তায় নামল বামফ্রন্ট।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন গঙ্গারামপুর পৌরসভার বাইরে সিপিএমকে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সিপিএমের সম্পাদক নারায়ন বিশ্বাস সহ বামফ্রন্টের অন্যান্য নেতাকর্মীরা। আর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রশাসক বোর্ড গঠন করে দেওয়া হলেও, কেন সিপিএমের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে বিক্ষোভ করা হচ্ছে, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএমের এই বিক্ষোভ সমাবেশকে “লোক দেখানো” বলে কটাক্ষ করেছেন গঙ্গারামপুর পৌরসভার প্রশাসক অমলেন্দু ভূষণ সরকার। তিনি বলেন, “সামান্য একটি বিষয়কে নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে সিপিএম।” তবে সিপিএমের এই বিক্ষোভ নিয়ে রাজনৈতিক মহলের একাংশ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। কেননা শিলিগুড়ি পৌরসভা সিপিএমের দখলে ছিল।

সম্প্রতি সেখানে প্রশাসক বোর্ড গঠন করেছে রাজ্য সরকার। যেখানে প্রশাসক বোর্ডে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্যকে। এছাড়াও সদস্য রয়েছেন তারা সকলেই বামফ্রন্টের প্রতিনিধি। ফলে সেখানে বিরোধিতা না করলেও, কেন গঙ্গারামপুর পৌরসভার ক্ষেত্রে তারা এই বিরোধিতা করছে? রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে, তাহলে কি নিজেদের পৌরসভার ক্ষেত্রে সিপিএম এক নীতি নিচ্ছে? আর শাসকদলের পৌরসভার ক্ষেত্রে তারা আরেক নীতি নিচ্ছে? কিন্তু তাদের এই দো-তরফা নীতি জনমানসে প্রশ্ন তুলে দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!