এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > লোকসভার আগেই আলিপুরদুয়ারে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বড়সড় জয় বিজেপির, শুরু তীব্র জল্পনা

লোকসভার আগেই আলিপুরদুয়ারে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বড়সড় জয় বিজেপির, শুরু তীব্র জল্পনা


লোকসভা ভোটের আগেই জয়ের হাসি ফুটল বিজেপির কর্মী সমর্থকদের মুখে। আলিপুরদুয়ারে যৌথ বন পরিচালন সমিতির ১৫ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা – এমনটাই দাবী বিজেপি নেতৃত্বের। বিজেপি শিবিরের আরও দাবি – এখানে তাঁদের জয়ের থেকেও বড় কথা প্রবল প্রতাপশালী প্রতিপক্ষ তথা ঘাসফুল শিবির সেখানে দেবার মত প্রার্থীই খুঁজে পায় নি। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার আগে এই নিরঙ্কুশ জয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মনোবল অনেকটাই বাড়াবে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।

কারণ হিসাবে গেরুয়া শিবিরের দাবি, এতদিন প্রশাসন ও পুলিশকে ব্যবহার করে বিরোধীদের ভয় দেখিয়ে রাজ্যজুড়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনো নির্বাচন জেতাটা ‘ট্রেন্ড’ করে ফেলেছিল ঘাসফুল শিবির। কিন্তু, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আবেগের ফলে ঘটল উলটপুরাণ – পুলিশ-প্রশাসন হাতে থাকা সত্ত্বেও প্রার্থী দিতে পারল না তৃণমূল। ফলে, এই জয়ের মাধ্যমেই লোকসভা ভোটেও যে বাংলায় তৃণমূলকে পরাস্ত করার বড়সড় ইঙ্গিত দিচ্ছে – সে ব্যাপারে রীতিমত নিশ্চিন্ত দেখাচ্ছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বকে। রীতিমত কটাক্ষের সুরে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছেন – ৪২ এ ৪২ করার স্বপ্ন দেখা শাসকদল প্রার্থীই খুঁজে পেল না – এতেই তো দেওয়াল লিখন স্পষ্ট!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, এদিন জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের নর্থ ও ইস্ট রেঞ্জের গ্রামগুলির ১৫ টি আসনে নির্বাচন হয়। যদিও এই এলাকায় প্রতীকের নির্বাচন হয় না। তবে গেরুয়া শিবিরের দাবি, প্রতিটি আসনেই তাদের প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি নেতা বিদুর বিশ্বাস তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, হেরে যাওয়ার ভয়ে গত এক বছর ধরে রাজনৈতিক চক্রান্ত করে নির্বাচন আটকে রেখেছিল তৃণমূল। তবে শেষ পর্যন্ত সবই পন্ড হল শাসকদলের। চলতি মাসের ১৯ তারিখ রেঞ্জ অফিসে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে সফল হন বিজেপি প্রার্থীরা। তারপর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ও হাসিল করেন সকলেই।

গত একবছর ধরে নির্বাচন থমকে থাকায় গ্রামগুলির উন্নয়নও থমকে ছিল বলে দাবী করেন তিনি। তবে এবার নির্বাচন ঠিকঠাক ভাবে হওয়ায় ফের এলাকায় উন্নয়নের চাকা ঘুরবে বলেই আশ্বাস দেন তিনি। তবে এই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার জয় নিয়ে জেলার গেরুয়া শিবির উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও তৃণমূল এ ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই বিষয়ে নাকি কিছুই জানা নেই তাঁদের। তবে, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে গেরুয়া শিবিরের এই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় ও তা নিয়ে শাসকদলের মুখে কুলুপ এঁটে থাকা নিয়ে রীতিমত জল্পনা শুরু হয়ে গেছে স্থানীয় স্তরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!