এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > স্বাধীনতা দিবসে পতাকা তুলতে গিয়ে নিহত বিজেপি নেতার মরদেহ গ্রামে ফিরতেই নতুন করে অশান্তি শুরু

স্বাধীনতা দিবসে পতাকা তুলতে গিয়ে নিহত বিজেপি নেতার মরদেহ গ্রামে ফিরতেই নতুন করে অশান্তি শুরু


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রবিবার রাতেই নিহত বিজেপি নেতা সুদর্শন প্রামাণিকের দেহ গ্রামে ফিরেছে। আর তারপর থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করেছে খানাকুলের নতিবপুর এলাকায়। বস্তুত, গত 15 আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন নতিবপুর দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি নেতার সুদর্শন প্রামানিককে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

জানা যায়, জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর স্থানীয় কচিকাচাদের মধ্যে চকোলেট, বিস্কুট বিলি করেন তিনি। আর তখনই বেশ কিছু দুষ্কৃতী তার ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আর এই সময় সেই সুদর্শনবাবুকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন আরও দুই বিজেপি কর্মী। পরবর্তীতে সুদর্শনবাবুকে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর এরপর থেকেই খানাকুলের বিভিন্ন এলাকায় উত্তপ্ত হতে শুরু করে। রবিবার বিজেপির পক্ষ থেকে খানাকুলে 12 ঘন্টা বনধের ডাক দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে রবিবার রাতে সেই নিহত বিজেপি কর্মীর দেহ গ্রামে আসতেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জানা গেছে, নিজেদের দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা তৃণমূল কর্মীদের পাঁচটি বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। ফলে কার্যত রণক্ষেত্রের আকার নেয় গোটা এলাকা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে এলাকার শান্তি বিঘ্নিত হবে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি নিজেদের মধ্যে এভাবে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়ে পড়েন, তাহলে মানুষ কীভাবে শান্তিতে থাকবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। একাংশের মতে, পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো কিছুদিন আগেই এই খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের 24 ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হলে পুলিশকে তার মাশুল গুনতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। যার ফলস্বরুপ বিজেপির নেতা কর্মীরা তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “প্রথম থেকেই আমরা বলে আসছি এর সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত নয়। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুনের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তার পরও তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের দোকান ভাঙচুর হচ্ছে। আসলে বিজেপির পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে। তাই ওরা এখন হিংসার ঘটনা ঘটাচ্ছে। সাধারণ মানুষ কখনই হিংসা চায় না। মানুষ এর উত্তর দেবে।”

এদিকে এই প্রসঙ্গে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, “ওই এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে নেই। মানুষ পুলিশ প্রশাসনের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। যারা খুনের ঘটনায় যুক্ত, তাদের আড়াল করা হচ্ছে। নিরাপদ সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তাই মানুষ এর প্রতিবাদ করেছে।” সব মিলিয়ে খানাকুলের পরিস্থিতি ক্রমেই সংকটজনক হয়ে উঠেছে। এখন পুলিশ প্রশাসন এই সমস্যাকে মেটাতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!