এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > CAA আসলে উপকারী! প্রমানে মরিয়া বিজেপি এবার চায় হাতে-কলমে প্রয়োগ! কাজ শুরু দূর্গাপুজোর পরেই?

CAA আসলে উপকারী! প্রমানে মরিয়া বিজেপি এবার চায় হাতে-কলমে প্রয়োগ! কাজ শুরু দূর্গাপুজোর পরেই?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –যত দিন যাচ্ছে, ততই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এখন রীতিমত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে করোনা ভাইরাসের আগমনের আগে বাংলায় যে বিষয়টি নিয়ে বিজেপিকে চাপে ফেলার চেষ্টা করেছিল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, তা হল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। অভিযোগ করা হয়েছিল, এই আইনের মাধ্যমে সংখ্যালঘু সমাজের ওপর আক্রমণ আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই এবার এই নয়া নাগরিকত্ব আইনে বিরোধীদের মাত দিতে নয়া উদ্যোগ নেওয়ার কথা চিন্তা ভাবনা করছে কেন্দ্রের মোদি সরকার।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 2019 সালে দ্বিতীয়বারের জন্য কেন্দ্রের ক্ষমতা দখল করার পরেই নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, এই আইনে পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে বেশি মতুয়া সম্প্রদায়ের লাভ হবে। কেননা এই সম্প্রদায়ের মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই নাগরিকত্বের দাবিতে সরব ছিলেন। ফলে তারা অনেকটাই লাভবান হবেন।

কিন্তু বিজেপি এই দাবি করলেও পশ্চিমবঙ্গের তিন উপনির্বাচনে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাপক সাফল্য পায়। পর্যুদস্ত হয় ভারতীয় জনতা পার্টি। যার ফলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সম্পর্কে বিজেপি ঠিকমত না বোঝার কারণেই যে তাদের এই ফলাফল হয়েছে, তা বুঝতে পারে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই এবার নতুন করে দুর্গাপুজোর পরবর্তীতে বাংলাদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু করার কথা ভাবছে কেন্দ্র সরকার। মূলত বিধানসভা নির্বাচনের মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই ইস্যুকে তুলে ধরে আবার বিজেপিকে চাপে ফেলা হতে পারে। তাই সেই বিলকে নিয়ে এবার ধীরে চলো নীতি নিয়েছে গেরুয়া শিবির। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, পুজোর আগেই পাইলট প্রকল্পের কাজ শুরু করার কথা ভাবা হচ্ছে।

শুরুতে একটি জেলায় এই কাজ শুরু করা হবে। তারপর ধীরে ধীরে তা অন্যত্র প্রয়োগ করা হবে। অর্থাৎ বিজেপি বিরোধী দলগুলো যেভাবে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে মানুষের মনে তাদের বক্তব্য পৌঁছে দিয়েছে, তাতে বিজেপির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই আইনের স্বপক্ষে মানুষের কাছে যুক্তি তুলে ধরাই এখন বিজেপির প্রধান কাজ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তাই দুর্গাপূজোর পড়ে সেই কাজে বেশি মনোনিবেশ করতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওই আইন নিয়ে লোককে ভীষণভাবে ভুল বুঝিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। এই আইনে মানুষের উপকার হবে, অথচ বোঝানো হয়েছে উল্টো।” তবে বিজেপি এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মানুষের মনে তাদের বক্তব্য পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, তা কতটা কার্যকরী হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!