এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিধানসভায় দলীয় প্রার্থী নিয়ে ব্যাপক চাপে বিজেপি! নেওয়া হল বড়সড় সিদ্ধান্ত!

বিধানসভায় দলীয় প্রার্থী নিয়ে ব্যাপক চাপে বিজেপি! নেওয়া হল বড়সড় সিদ্ধান্ত!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যেই যে প্রধান লড়াই হতে চলেছে, তা বলাই যায়। তৃণমূল সহ একাধিক দলের নেতা এখন বিজেপিতে নাম লেখাতে শুরু করেছেন। আর বিজেপির পুরনো নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সদ্য দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়া নেতাকর্মীরা এখন সকলেই গুরুত্বপূর্ণ পদ বা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। সেদিক থেকে বিজেপির পক্ষ থেকে চাপ ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। কাকে বাদ দিয়ে কাকে প্রার্থী করবে তারা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে চিন্তা।

আর এবার গেরুয়া শিবিরের চাপ বাড়িয়ে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহার জেলার আটটি আসনে প্রার্থী হতে চেয়ে বিজেপির কাছে একচল্লিশটি আবেদনপত্র জমা পড়ল। স্বাভাবিকভাবেই 8 টি বিধানসভা আসনের জন্য 41 টি বায়োডাটা জমা পড়ায় রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। অনেকে বলছেন, এটা বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তবে এত জন প্রার্থী হওয়ার আবেদনপত্র জমা করায় সবাইকে খুশি করতে না পারলে বিজেপির চাপ যে আরও বাড়বে এবং তার ফলে যে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বৃদ্ধি পেতে পারে, সেই বিষয়টি ভাবাতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরের একাংশকে।

গেরুয়া শিবিরের দাবি, কোচবিহার জেলার আটটি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হতে চেয়ে ইতিমধ্যেই তাদের পার্টি অফিসে সোমবার পর্যন্ত 41 টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। অনেকে আবার প্রার্থী হওয়া নিশ্চিত করবার জন্য কলকাতাতে তাদের আবেদনপত্র জমা দিয়ে দিয়েছেন। আর জেলায় যে সমস্ত আবেদনপত্র জমা পড়েছে, সেগুলো পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। অনেকের প্রশ্ন, এই 41 টি আবেদনপত্র জমা দেওয়ায় কিভাবে সকলকে খুশি রাখবে ভারতীয় জনতা পার্টি?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেননা আটটি বিধানসভা আসনের জন্য প্রার্থী হিসেবে 8 জনকে বেছে নিতে হবে। সেদিক থেকে আবেদনপত্র জমা পড়েছে 41 জনের। আগামী দিনে প্রার্থী হতে চেয়ে আরও এরকম আবেদনপত্র জমা পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই যে আটজনকে বেছে নেওয়া হবে, আর বাকিরা বাদ পড়বেন, তারা প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের সৃষ্টি করতে পারেন। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির জন্য প্রার্থী হতে চেয়ে এত আবেদনপত্র জমা পড়া যেমন গেরুয়া শিবিরের কাছে উজ্জীবিত হওয়ার অন্যতম কারণ, ঠিক তেমনই ভবিষ্যতে যদি প্রার্থী নিয়ে এই বায়োডাটা জমা পড়া ব্যক্তিদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়, তাহলে জয়ের পথে বিজেপির নেতাকর্মীরাই কাটা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতি রাভা রায় বলেন, “এখনও পর্যন্ত জেলা অফিসে 41 টি বায়োডাটা জমা পড়েছে। এরা সকলেই বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়ে দলের কাছে আবেদন করেছেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইতে পারেন। আমরা এখানে জমা পড়া আবেদনপত্র কলকাতায় পাঠিয়ে দেব।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে জেলা বিজেপির সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গের উন্নতি হবে, সেটা মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে বলেই স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বিধানসভার প্রার্থী হতে চেয়ে বায়োডাটা জমা করছেন। একটা সরকারের প্রতিনিধি সকলেই হতে চান বলেই এত আবেদ জমা পড়ছে। আমাদের মধ্যে কোনো অন্তর্দ্বন্দ্ব নেই। যদি থাকত, তাহলে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা যেত না। দলের মধ্যে গণতন্ত্র আছে বলেই এভাবে এসব হচ্ছে।” যদিও বা বিজেপির প্রার্থী হওয়ার জন্য আবেদন জমা পড়লেও, তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “আসলে বিজেপির অন্দরে অনেক ক্ষোভ রয়েছে। সেই ক্ষোভ প্রশমন করতেই এসব আইওয়াশ করছে। ওই দলে বাইরের নেতারা যা ঠিক করে দেয়, তাই হয়। ওদের ধার করা নেতা ছাড়া দাঁড়ানোর লোক নেই। ওরা তৃনমূলের মুখাপেক্ষী হয়ে আছে কবে একজন দলছুট হয়ে আসবে, তাকেই ধরে বেঁধে প্রার্থী করবে।” সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!