গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়েও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, লোকসভা ভোট নিয়ে চিন্তা বাড়ছে শাসকদলের কলকাতা রাজ্য January 29, 2019 সদ্য সমাপ্ত রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় সিংহভাগ জেলার বেশিরভাগই পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শাসক দলের দলীয় কোন্দলের কারণে কে প্রধান হবে আর কে উপপ্রধান হবে তা নিয়ে বেধেছে কোন্দল। আর এবার আমতা 1 ব্লকের চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে শাসকদলের 11 সদস্যের মধ্যে 6 জনই অনুপস্থিত থাকাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের 11 টি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে জয়লাভের পর বোর্ড গঠনে প্রধান হিসেবে তৃণমূলের মোশারফ মিদ্দে এবং উপপ্রধান হিসেবে শেখ রজব আলী নির্বাচিত হন। এদিকে কিছুদিনের মধ্যেই সেই প্রধান পদে মোশারফ মিদ্দে ইস্তফা দিলে ফের সোমবার এই বোর্ড গঠনের দিন ধার্য করা হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, এদিনের এই বোর্ড গঠনের সময় উপপ্রধানকে পঞ্চায়েতের অফিসে পুলিশের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। এমনকি আমতার কলতলা মোড়ে তাঁকে পুলিশ আটক করে বলেও অভিযোগ। এদিকে উপপ্রধান পঞ্চায়েত অফিসে না আসায় বাকি 6 সদস্যও এদিন অনুপস্থিত ছিলেন। তবে বাকি 5 সদস্য সেই বোর্ড গঠনে অংশ নিয়েছিল। এদিন এই প্রসঙ্গে শেখ রজব আলী বলেন, “পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করছে। আমাদের পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে দেয়নি।” অন্যদিকে পুলিশ অবশ্য সেই সমস্ত হেনস্থার কথা অস্বীকার করেছে। একইভাবে বোর্ড গঠনে কোনো অশান্তি হয়নি বলেই জানিয়েছেন জেলা তৃনমূলের সভাপতি (গ্রামীণ) পুলক রায়। সব মিলিয়ে এবার গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়েও শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। আপনার মতামত জানান -