প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপিতে যোগদান করার পরেই শুভেন্দু অধিকারীর পরিবারের তৃণমূলে থাকা সদস্যদের নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এক বাড়িতে সবাই তৃণমূল করা সত্ত্বেও, এক ছাদের তলায় থাকতে লজ্জা করে না বলে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। যার পরবর্তীতে শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, আগামীদিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও পদ্ম ফোটানো হবে।

আর তারপর থেকেই জল্পনা ক্রমশ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠতে শুরু করে। আর এবার তমলুকের সভা থেকে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও পদ্ম ফোটানো হবে বলে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে রীতিমত দিনক্ষণ বেঁধে দিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন তিনি। সূত্রের খবর, এদিন রোড শো করার পর তমলুকে একটি সভা করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আর সেখানেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। বক্তব্য রাখতে উঠে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমার বাড়িতেও পদ্ম ফুটতে শুরু করেছে। আগামী 16 ফেব্রুয়ারির আগে মাননীয়ার বাড়িতেও পদ্ম ফুটবে।” আর হেভিওয়েট বিজেপি নেতার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এবার তীব্র জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও পদ্ম ফুটবে বলে কি বোঝাতে চাইলেন এই বিজেপি নেতা!

কিছুদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক ভাই বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু মাঝে সেই জল্পনা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। তবে এবার শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে 16 ফেব্রুয়ারির আগে মাননীয়ার বাড়িতে পদ্ম ফোটানো হবে বলে দাবি করলেন, তাতে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। অনেকের প্রশ্ন, শুভেন্দু অধিকারী ঠিক কার কথা বোঝাতে চাইলেন?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও পদ্ম ফোটানো হবে বলে কাকে বিজেপিতে নিয়ে আসার কথা বোঝালেন তিনি? যদি শুভেন্দু অধিকারীর এই কথা সত্যি হয় এবং সত্যি সত্যিই যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে পদ্ম ফুটে যায়, তাহলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

পাশাপাশি এতদিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে যতই গুরুত্বহীন বলা হোক না কেন, শুভেন্দুবাবু এই কাজ করতে সক্ষম হলে তৃণমূলের সেই দাবি প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে যাবে বলেও দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, শুভেন্দু অধিকারীর এই ধরনের বিস্ফোরক মন্তব্যের পর তৃণমূল নেতৃত্ব কতটা সচেতন হয়, সত্যি সত্যিই 16 ফেব্রুয়ারির আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে পদ্ম ফোটে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।