এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > লকডাউনেও বিজেপির তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! মেরে নেতার হাত-পা ভেঙে দিলেন বাংলার দলীয় কর্মীরা!

লকডাউনেও বিজেপির তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! মেরে নেতার হাত-পা ভেঙে দিলেন বাংলার দলীয় কর্মীরা!

সকলেই এখন চিন্তিত, কিভাবে করোনা ভাইরাসকে দূরীভূত করা যাবে। রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে রেখে জীবনকে বাঁচাতে সকলেই চেষ্টা করছেন। কিন্তু এর মাঝেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তাকালে দেখা যাচ্ছে, রাজনৈতিক সংঘর্ষ থেকে শুরু করে অশান্তির ঘটনা। বর্তমানে গোটা দেশে লকডাউন চলছে। মানুষ বাইরে বেরোচ্ছেন না। কিন্তু এর মাঝেই এবার বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি করল।

জানা গেছে, সম্প্রতি পাত্রসায়ের মন্ডল 1 বিজেপি সভাপতি দেবানন্দ সরকার স্থানীয় ব্লক অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। আর সেই সময় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত বেশ কিছু ব্যক্তি সেই দেবানন্দবাবুকে তেমাথায় আটকায় এবং ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, দলের কর্মীদের মারধরের জেরে ইতিমধ্যেই সেই দেবানন্দ সরকারের একটি হাত এবং দুটি পা ভেঙে গিয়েছে।

বর্তমানে তিনি গুরুতর জখম অবস্থায় পাত্রসায়ের ব্লক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তবে পরবর্তীতে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কিন্তু লকডাউনের এই মুহূর্তে বিজেপি নেতার ওপর এই হামলা এবং এই ঘটনায় বিজেপির কিছু কর্মীদের দিকে অভিযোগ ওঠায় এখন তীব্র সোরগোলের সৃষ্টি হয়েছে। কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের মতে, লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য পাওয়ার পর এই অঞ্চলে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। যে ঘটনা বিজেপিকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু মাঝে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অনেকটাই বন্ধ হয়েছে। তবে এবার দেবানন্দবাবুকে মারধরের ঘটনায় বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যা বিজেপিকে করোনা ভাইরাসের এই মুহূর্তে অনেকটাই অস্বস্তিতে ফেলে দিল বলে দাবি একাংশের।

তবে বর্তমান সময়ে বিজেপির এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হিসেবে মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন এই প্রসঙ্গে পাত্রসায়র মন্ডল 2 এর সভাপতি তমাল কান্তি গুই বলেন, “মন্ডল সভাপতি দেবানন্দ সরকারকে যারা মারধর করেছেন, তাদের আগেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তারা তোলাবাজি এবং অন্যান্য অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, “তাই তাদের অনেক আগেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দেবানন্দবাবুকে মারধরের ঘটনায় যারা যুক্ত, তাদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।” প্রসঙ্গত, এখন বিজেপি নেতা-জনপ্রতিনিধিরা বারেবারেই আঙুল তুলছেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের দিকে। করোনা পরিস্থিতিতেও ঘাসফুল শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না। সব মিলিয়ে এখন লকডাউনের মুহূর্তে দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম অস্বস্তিতে ফেলে দিল ভারতীয় জনতা পার্টিকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!