এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ছিঃ, এ কোন রাজনীতি ভাইপোর? ব্যাক্তি হেনস্থার পথে তৃনমূল, জোর কটাক্ষ বিজেপির!

ছিঃ, এ কোন রাজনীতি ভাইপোর? ব্যাক্তি হেনস্থার পথে তৃনমূল, জোর কটাক্ষ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজনীতিতে আক্রমণ, প্রতি আক্রমণ থাকবে। আর সেটা থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার ঊর্ধ্বে উঠে গিয়ে এবার কি ব্যক্তি হেনস্থার পথে পা বাড়ালো রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস? আপনারা সকলেই জানেন, একশো দিনের কাজের টাকা নাকি তাদের দেওয়া হচ্ছে না। তা নিয়ে দিল্লির পরে এবার রাজভবন চলোর নামে ধর্না দিচ্ছেন বাংলার যুবরাজ। আর সেই ধর্না কর্মসূচি থেকেই এমন একটি ঘোষণা করলেন আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, তা নিয়ে তার রাজনৈতিক সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। যিনি নিজেকে জনতার নেতা বলে দাবি করেন, তিনি কি করে বিরোধীদলের একজন নেতাকে নিয়ে এই ধরনের ঘোষণা করে দিতে পারেন! এটা কি তার রাজনৈতিক শিষ্টাচার? নাকি ব্যক্তি হেনস্থা, তা নিয়ে ক্রমাগত উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত, শনিবার তৃতীয় দিনে পড়েছে তৃণমূলের রাজভবন চলো কর্মসূচি। আর সেই ধর্না কর্মসূচি থেকেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দুটি ফোন নম্বর ভাইরাল করে দেন তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনিই নাকি সেই ফোন নম্বর সকলের সামনে রাজীববাবুকে দিতে বলেছেন। কিন্তু এটা কোন ধরনের রাজনীতি? কেন তৃণমূল এই ধরনের কাজ করলো? অভিষেকবাবুর যুক্তি যে, সুকান্ত মজুমদার কিছুদিন আগে বলেছেন, তিনি একটা ফোন করলেই দিল্লি থেকে টাকা চলে আসবে। সেই কারণেই সাধারণ মানুষকে এই ফোন নম্বর দিয়ে সুকান্তবাবুকে ফোন করে যাতে মানুষ টাকা চান, তার জন্য তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একাংশের দাবি, রাজনীতিতে পেরে উঠছেন না জন্যই এবার ব্যক্তি হেনস্থার পথে এগিয়ে গেলেন তৃণমূলের যুবরাজ। ফোন নম্বর অত্যন্ত গোপন জিনিস। আর রাজনৈতিক নেতাদের ফোন নম্বর তো এভাবে প্রতিপক্ষের কোনো নেতা পাবলিক করতে পারেন না। তাই আন্দোলনের নাম করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলেখেলার রাজনীতি আর সহ্য করতে পারছে না বিরোধীরা।

বিজেপির কটাক্ষ, এভাবে কি বিরোধী দলের কোনো নেতার নম্বর বিলিয়ে দেওয়া যায়? এটা কোন ধরনের শিষ্টাচার! এটাই কি বাংলার সংস্কৃতি! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে নম্বর পাবলিক করার চেষ্টা করলেন, তাতে তো তার দলের নেতাকর্মীরাই এখন দিনরাত বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে বিরক্ত করতে শুরু করবেন। বাংলার রাজনীতিকে কিভাবে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাচ্ছে, এটাই তার জ্বলন্ত প্রমান। কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না, তার পরিপ্রেক্ষিতে সকলে একটাই কথা বলছেন যে, রাজ্য সরকার হিসেবটা দিয়ে দিক। তাহলেই কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিয়ে দেবে। কিন্তু হিসেব দিতে এত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের আপত্তি কিসের! তার বদলে যে ব্যক্তি হেনস্থা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করলেন, তার ফল মারাত্মক হতে পারে। তার দলের অনেক সর্বস্তরের শীর্ষ নেতারাও তো তার নম্বর পান না। সেই মুরোদ তো যুবরাজের নেই যে, নিজের দলের সবাইকে তার নম্বর দিয়ে দেওয়ার। কিন্তু সেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি নম্বর দিয়ে দিনরাত তাকে বিরক্ত করার যে ফন্দি যুবরাজ বের করার চেষ্টা করলেন, তা আন্দোলনের থেকেও বড় বিশৃঙ্খলা প্রয়োগের চেষ্টা বলেই কটাক্ষ বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্না করে ভাবছেন, তিনি রাজনৈতিক নেতা হবেন। কিন্তু তার এই ধরনের উদ্যোগের পরেই স্পষ্ট হয়ে গেল তিনি, রাজনীতির র টুকুও বোঝেননি। এটা রাজনীতি নয়, এটা গুন্ডাগিরি, এটা মানুষকে বিরক্ত করা। মানুষকে বিশৃংখলার মুখে ফেলা। বিরোধী দলকে শাসানি দেওয়ার চেষ্টা করা। ফলে যুবরাজ প্রকাশ্যে তার সভা মঞ্চ থেকে সুকান্ত মজুমদারের নম্বর বিলি করে করলেন, তাতে তার ভোঁতা বুদ্ধি নিয়েই প্রশ্ন তুলছে পদ্ম শিবির। তবে যুবরাজ যদি ভাবেন, এসব করে বিজেপি তাদেরকে টাকা দিয়ে দেবে। তিনি বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতিকে বিরক্ত করবেন, এই শিষ্টাচারহীন রাজনীতি বাংলার মাটিতে প্রতিষ্ঠিত করবেন, ব্যক্তি হেনস্থা করবেন, আর বিজেপি তার কাছে মাথা নত করবে, তাহলে তিনি ভুল করছেন। বিজেপির জেদ দিনকে দিন আরও চেপে বসছে। তাই এসব আরও ভালো করে করে যান যুবরাজ। এইসব কান্ডকলাপ যত করবেন, ততই নিজেদের রাজনৈতিক কবর মাটির সুড়ঙ্গটা প্রকট হবে। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক সমালোচকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!