প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে নতুন করে দেশের বেশ কিছু রাজ্যে সংগঠনে বদল আনতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যার মধ্যে বাংলাতেও সেই সাংগঠনিক রদবদল হতে পারে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। অনেকে বলছেন, সুকান্ত মজুমদারকে অন্য কোনো দায়িত্ব দিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদে বসানো হতে পারে অন্য এক হেভিওয়েটকে। এমতাবস্থায় আবার নতুন করে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমানে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের সাংগঠনিক ক্ষমতা বৃদ্ধি হতে পারে বলে একটি সূত্র মারফত খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর সেই সূত্রের রেশ ধরেই দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন এই বিজেপি নেতা। বুঝিয়ে দিলেন, তিনি যখন যা দায়িত্ব পেয়েছেন, তখন তা সাধ্যমত পালন করার চেষ্টা করেছেন।

প্রসঙ্গত, এদিন বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক রদবদল এবং দিলীপ ঘোষের দায়িত্ব বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, “আগে আমি রাজ্য সভাপতি ছিলাম। তখন যে পরিমাণ কাজ করতাম, তার থেকে অনেক বেশি কাজ করি। এখন গোটা দেশে ঘুরে বেড়াতে হয়। আর বিজেপিতে যখন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তখন তাকে তা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয় না। আমরা অমিত শাহকে দেখেছি। উনি যেভাবে সমস্ত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন, কথা বলেন, তা দেখে আমরা শিখেছি।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলার সংগঠনকে আরও চাঙ্গা করতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বাংলা থেকে বেশি সংখ্যক আসন নরেন্দ্র মোদী নিজের ঝুলিতে নিতে চাইছেন। সেক্ষেত্রে সুকান্ত মজুমদারের আপাদমস্তক শান্ত এবং ভদ্র ব্যক্তিকে রাজ্য সভাপতি থাকলেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে তিনি কতটা লড়াই দিতে পারবেন, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেদিক থেকে অনেকটাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই দিয়ে মমতার অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী।

অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ যখন রাজ্য সভাপতি ছিলেন, সেই সময় থেকেই বাংলায় ক্রমাগত বিজেপির উত্থান হতে শুরু করেছিল। তাই এই পরিস্থিতিতে বাংলায় সাংগঠনিক বদল হলে দিলীপ ঘোষের গুরুত্ব কি আবার বৃদ্ধি পেতে পারে, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হতেই ইঙ্গিতপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দিলেন এই বিজেপি নেতা।