এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > হিন্দিভাষার তকমা সাটা ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে যেন প্রাণবায়ু শুভেন্দু, চড়ছে চর্চা

হিন্দিভাষার তকমা সাটা ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে যেন প্রাণবায়ু শুভেন্দু, চড়ছে চর্চা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –ভারতবর্ষের রাজনীতিতে যখন দ্বিতীয়বারের জন্য এনডিএ সরকার তৈরি হয়, তখন সেই সরকারের অন্যতম জোট শরিক ছিলেন বর্তমান পশ্চিমবাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং তার সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বিস্তৃত ভারতবর্ষের অনেক রাজনৈতিক দলের কাছেই বিজেপি ছিল উত্তর ভারতের একটি দল।

যে দলের সর্বভারতীয় কোনোরকম ভিত নেই। আর অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই সরকারের পরে নরেন্দ্র মোদী সরকারেরও কেটে গেছে প্রায় সাত বছর। কিন্তু হিন্দিভাষী এলাকার দল হিসেবে অপবাদ ঘোচেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই বিজেপির বিরুদ্ধে বর্তমান পশ্চিমবাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান অভিযোগ, বহিরাগত নয়, বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। আর তৃণমূল কংগ্রেসের সেই অভিযোগকে আরও অনেক বেশি শক্তিশালী করে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতাদের বাচনভঙ্গি।

বিজেপিতে যে সমস্ত দিকগজ নেতারা রয়েছেন, তাদের মধ্যে অধিকাংশই হিন্দিভাষী। তাই ভাষণ দেওয়ার ভাষা হিসেবে তাদের হিন্দিকেই ব্যবহার করতে হয়। আর বঙ্গ বিজেপির যে সমস্ত নেতারা রয়েছেন, বক্তা হিসেবে তারা অনেকেই অপটু। খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্যকেও ঠিকঠাক দিকগজ বক্তাদের তালিকায় ফেলা যায় না। কিন্তু বিজেপির এই বাংলা শূন্যতার দুর্যোগে যেন পরিত্রাতা শুভেন্দু অধিকারী।

বলা বাহুল্য, যেদিন থেকে শুভেন্দু অধিকারী ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, সেদিন থেকেই তার আক্রমণের মূল নিশানায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং তার সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতেও ক্ষান্ত নন। সরাসরি তৃণমূল নেত্রীর পরিবার তুলে বারংবার অভিযোগ করে এসেছেন শুভেন্দুবাবু। অনেকের কাছে এই অভিযোগগুলো ব্যক্তিগত আক্রমণ হলেও, শুভেন্দু অধিকারীর বচন পটুতায় সেই আক্রমণ যেন নতুন আঙ্গিক পায়। যা বেশ শ্রুতিমধুর হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি নন্দীগ্রামবাসীর কাছে ভোটে দাঁড়াবেন কিনা, এই প্রশ্ন করেছিলেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই কথাকেই নাটকীয় ভাবে এমন কায়দায় পরিবেশন করেছিলেন শুভেন্দুবাবু, যে, তৃণমূল নেত্রীর আবেদনটাও জনগণের কাছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে। শুভেন্দু অধিকারীর এই গুণই ভারতীয় জনতা পার্টিকে নির্বাচনের ময়দানের নতুন রসদ যোগাচ্ছে।

আমপানের টাকা চুরি থেকে শুরু করে কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের নাম পরিবর্তন, ইত্যাদি বিষয় এর আগেও ভারতীয় জনতা পার্টির অনেক নেতারা জনগণের সামনে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু যে ভাষায় শুভেন্দু অধিকারী কথাগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন, তা যেন নতুন ভাবে প্রাণ সঞ্চার করছে বিজেপির অন্দরে।

তাই এমত পরিস্থিতিতে আগামী দিনে বিজেপিকে বাংলা বিরোধীদল বলা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে যে শুভেন্দু অধিকারী যে বড় চ্যালেঞ্জ, সেই বিষয়ে একমত ওয়াকিবহাল মহল। বিশ্লেষকদের মতে, যখন গোটা রাজ্য জুড়ে বহিরাগত তরজা চলছে, তখন প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সকলেই বলছেন, বিজেপির সংস্থাপক সভাপতি ছিলেন একজন বাঙালি।

তাই বিজেপিকে কোনভাবেই বাংলা বিরোধী দল বলা সম্ভব নয়। কিন্তু সেই কথাকে পুরোদস্তুর বাংলা ভাষায় সাজিয়ে যে ভাবে প্রস্তুত করা প্রয়োজন, তার রসদ একমাত্র রয়েছে অধিকারী পরিবারের মেজো ছেলের কাছে। আর সেই রসদ নিয়েই আগামী দিনে কত ফুটে ওঠে পদ্মফুল, সেদিকেই নজর থাকবে বাংলার নির্বাচকমণ্ডলীর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!