এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বন্যায় তৃনমূলের গুনধর সাংসদ নিখোঁজ? ভোট দেওয়ার ফল হাতেনাতে পাচ্ছেন মানুষ! কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের!

বন্যায় তৃনমূলের গুনধর সাংসদ নিখোঁজ? ভোট দেওয়ার ফল হাতেনাতে পাচ্ছেন মানুষ! কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-ঘাটালের মানুষ ভেবেছিলেন তৃণমূল যখন অভিনেতাকে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড় করালো, তখন সেই অভিনেতার জন্য তাদের এলাকা আরও উন্নতির মুখ দেখবে। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে, ততই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, বিশিষ্ট অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদের ব্যার্থতার বিষয়টি। বন্যায় মানুষ কাঁদছেন। সাধারণ মানুষ ত্রাণের জন্য হাহাকার করছেন। আর সেই সময় দেখা নেই ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবের। যার ফলে এবার এলাকায় তার নিখোঁজ পোস্টার লাগিয়ে মোক্ষম জবাব দিল গেরুয়া শিবির।

সূত্রের খবর, এদিন ঘাটালে বন্যা পরিদর্শন করতে যাওয়ার সময় বিজেপির তরফ থেকে একটি নিখোঁজ পোস্টার দেওয়া হয়। যেখানে স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ তথা বিশিষ্ট অভিনেতা দেবের ছবি লাগিয়ে তার নীচে নিখোঁজ বলে লিখে দেওয়া হয়। একাংশ বলছেন, কাজের কাজ করেছে বিজেপি। এলাকা থেকে ভোট নিয়ে গিয়ে সিনেমা করার ফুর্তিতে মজে থাকবেন সাংসদ, আর সাধারণ মানুষ কাঁদবেন, এটা হতে পারে না। মানুষের ভোটে যখন জিতেছেন, তখন সিনেমা বন্ধ করে এলাকায় সময় দেওয়া উচিত। কিন্তু তা না করে তিনি গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াবেন, এসব দিন শেষ। তাই তার নামে নিখোঁজ পোস্টার দিয়ে বিজেপি তৃণমূল সাংসদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে বলেই দাবি একাংশের।

গেরুয়া শিবিরের দাবি, রাজ্যে যখন বন্যার ভ্রুকুটি শুরু হয়েছিল, যখন একের পর এক নদীতে ডিভিসি জল ছাড়তে শুরু করেছিল, তখন তৃণমূল নেতারা দিল্লি গিয়ে বসেছিলেন। এখন তৃণমূল নেতারা দেখাতে চাইছেন, তারা কত মানব দরদী। কিন্তু ঘাটালের পরিস্থিতি বুঝিয়ে দিচ্ছে, এখানে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মত তৃণমূলের কোনো জনপ্রতিনিধি নেই। শুধু মুখেই বড় বড় বুলি দিলে হবে না। ভোটের সময় অভিনেতাকে দাঁড় করিয়ে ভোট নিলে হবে না। কাজের কাজটা সেই অভিনেতাকে দিয়েই করাতে হবে। তাই তার অনুপস্থিতি প্রমাণ করছে জনতার সমর্থনকে অপমান করেছেন দেব। মানুষের বিপদে মানুষের পাশে না থেকে তিনি হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলেই কটাক্ষ বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, জনতার মতামত এবং তাদের রায়কে বারবার ভূলুণ্ঠিত করছে রাজ্যের শাসক দল। একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে তারা বিজেপির বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ করেছে। কিন্তু তাদের সাংসদ যখন সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করছেন, তখন তা নিয়ে কেন মুখ খুলতে পারছেন না রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান! কেন তার বিরুদ্ধে একটা কড়া পদক্ষেপ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিচ্ছেন না যে, তার দল এই সমস্ত কিছুকে অনুমোদন দেয় না। এলাকায় যখন জিতেছেন, তখন এলাকায় সময় দিতে হবে, কেন নিজের দলের গুণধর সাংসদ দেবকে এই কথা বলার মত সাহস নেই তৃণমূল সুপ্রিমো এবং তাদের যুবরাজের? দিনের শেষে সেই প্রশ্নই তুলতে শুরু করেছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!