এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সুস্থ হয়েই ঢোলে পড়ছে মৃত্যুর কোলে! ভারতে করোনার নতুন উপসর্গে বাড়ছে চিন্তা!

সুস্থ হয়েই ঢোলে পড়ছে মৃত্যুর কোলে! ভারতে করোনার নতুন উপসর্গে বাড়ছে চিন্তা!

করোনা ভাইরাস প্রতি মুহূর্তে তার আচরণ পাল্টাতে শুরু করেছে। বর্তমানে এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে ভারতের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়ায়, তা অনেকটাই কাবু হয়েছে বলে মনে করছেন একাংশ। তবে সেই ভাইরাস দ্রুত তার রং বদলাতে শুরু করায় নিঃসন্দেহে চিন্তা বাড়ছে এখন সকলের। বর্তমানে চিকিৎসকরা প্রবল পরিশ্রমের মাধ্যমে অনেক রোগীকে সুস্থ করে তুলছেন।

কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, রোগীরা প্রথমদিকে সুস্থ হয়ে উঠলেও, হঠাৎ করেই তাদের মৃত্যু হয়ে যাচ্ছে। আর এই ঘটনা এখন চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ প্রত্যেকের চিন্তাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। সুস্থ হয়েও কেন অনেক মানুষকে মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই করোনা ভাইরাস ফুসফুস, হৃদয় ও মস্তিষ্কে অত্যন্ত প্রভাব ফেলছে। আর তার ফলেই শরীর বিকল হয়ে যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে হায়দ্রাবাদের অ্যাপোলো হাসপাতালের পালমনোলজিস্ট ডঃ সি বিজয়কুমার বলেন, “বাইরে থেকে দেখে রোগীদের সুস্থ মনে হচ্ছে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমতে থাকে। সারা পৃথিবীতেই এই চিত্রটা চোখে পড়েছে। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে ম্যাক্স হেলথ কেয়ারের পক্ষ থেকে ডক্টর সন্দীপ বুদ্ধিরাজা বলেন, “ফুসফুস ছাড়াও সংক্রমণ হার্ট, ব্রেনে ছড়িয়েছে কিনা, তাও নজর রাখা হচ্ছে। আর এটা থেকেই রোগীরা হঠাৎ করে প্রাণ হারাচ্ছেন। যাদের আগে কিংবা হার্ট অ্যাটাক রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে আরও মারাত্মক ভাবে প্রভাব বিস্তার করছে করোনা ভাইরাস।”

জানা গেছে, ভারতে সুস্থ হয়েও পরেরদিন করোনা ভাইরাসের জেরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে 40 থেকে 60 বছর বয়সী ব্যক্তিরা। তবে 60 বছর বয়সী ব্যক্তিরা যেহেতু অনেক ক্ষেত্রে গৃহবন্দী রয়েছেন, তাই তাদের ততটা অসুবিধে হচ্ছে না। এক্ষেত্রে 40 বছর বয়সী ব্যক্তিদের আক্রান্ত হয়ে যাওয়া, সুস্থ এবং তারপর মৃত্যু সামনে আসছে। যার ফলে বাড়ছে শঙ্কা। অনেকে বলছে, এই 40 বছর বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে যদি ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন থাকে, তাহলে এই মারন ভাইরাস সেখানে আরও বেশি করে প্রবেশ করছে। সব মিলিয়ে করোনা ভাইরাসকে দূরীভূত করতে যখন সকলে সচেষ্ট, ঠিক তখনই সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর একের পর এক মৃত্যু চিন্তা বাড়াচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। এখন কিভাবে এই চিন্তা মেটানো যায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!