এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার আর্জি দিল্লির কৃষক নেতার, চাঞ্চল্য রাজনীতি মহলে

বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার আর্জি দিল্লির কৃষক নেতার, চাঞ্চল্য রাজনীতি মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারণায় রাজ্যে এসেছেন দিল্লির একাধিক কৃষক নেতা। গতকাল কলকাতাতে রোডশো করলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত। এরপর নন্দীগ্রামে কেন্দ্রীয় নয়া তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মহা পঞ্চায়েতে যোগদান করেছিলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত। যেখানে তিনি জানালেন যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট না দিতে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি কটাক্ষ করে তিনি জানান, এই সরকার যদি কোনো দলের সরকার হতো, তবে এই সরকার জনতার কথা শুনতো। কিন্তু সরকার চালাচ্ছে একটি কোম্পানি। এখনও পর্যন্ত ৩০০ জন মানুষ আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন। কিন্তু সরকার নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছে। কোন কথাই শুনতে চাইছে না সরকার।

এরপর দর্শকদের উদ্দেশ্যে কৃষকনেতা রাকেশ টিকাইত জানালেন যে, নির্বাচনের কারণে বাংলার মানুষ সরাসরি আন্দোলনে যুক্ত হতে পারবেন না। কিন্তু মানুষের প্রতি তার আবেদন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারানোর কাজ করতে। তিনি জানালেন, যে বা যারা বিজেপি সরকারকে হারানোর চেষ্টা করছে, তাদেরকে সহযোগিতা করতে। আবার, নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর আহত হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির তীব্র সমালোচনা করলেন রাকেশ টিকাইত। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, পশ্চিমবঙ্গে এক নেত্রী যিনি বিজেপিকে হারাবার কাজ করছেন, চক্রান্ত করে তাঁর উপরে দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এমনকি কৃষক নেতাদের অরাজনৈতিক মঞ্চেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেখতে পাওয়া গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার কৃষক নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল জানালেন যে, পাকিস্তানের থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি অভিযোগ করেছেন মোদি সরকার শুধুমাত্র নিজেদের ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করে। তাই তাদের পরাজিত করতেই হবে। অন্যদিকে অল ইন্ডিয়া কিষান সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা জানালেন যে, স্বাধীনতার পর নরেন্দ্র মোদীর সরকার হলো সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতক সরকার।

প্রসঙ্গত, কৃষক নেতারা বারবার জানাচ্ছেন যে, তাদের সমস্ত কর্মসূচি হলো কেন্দ্রীয় নয়া তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে, কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে, তারা কোন রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার করছেন না। কিন্তু যেভাবে তারা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করছেন, তাতে তাদের আন্দোলনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে, কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই। বিশেষত প্রজাতন্ত্র দিবসের তাণ্ডব এখনো পর্যন্ত ভুলে যাননি দেশের মানুষ। সেদিনের তাণ্ডবের পর থেকেই এই নেতাদের আন্দোলনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে অনেকেই সন্দিহান হয়ে উঠেছেন।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!