প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগেই আজ নন্দীগ্রাম দিবসকে কেন্দ্র করে রীতিমত শাসক বনাম বিরোধী দলের মধ্যে টানাপড়েন চলছে। এককালে নন্দীগ্রাম দিবস ধুমধাম সহকারে পালন করতেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেই শুভেন্দু অধিকারী এখন ভারতীয় জনতা পার্টিতে নাম লিখিয়েছেন। বর্তমানে তিনি নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। অন্যদিকে এই নন্দীগ্রাম বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীকে জবাব দিতে সেখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রার্থী রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

স্বাভাবিক ভাবেই নন্দীগ্রামের লড়াই এখন কার্যত হাইপ্রোফাইল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে আজ নন্দীগ্রাম দিবসকে কেন্দ্র করে একদিকে তৃণমূল এবং অন্যদিকে বিজেপি ও শুভেন্দু অধিকারী যে ময়দানে নামবেন, তা বলাই যায়। তবে নন্দীগ্রাম দিবস পালনকে কেন্দ্র করে এবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল সোনাচূড়া এলাকায়।

বলা বাহুল্য, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাকে বিশ্বাসঘাতক এবং মীরজাফর বলে আক্রমণ করা হচ্ছে। এমনকি তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়ার পর নন্দীগ্রামে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের জনসংযোগ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি এবং শুভেন্দু অধিকারী এই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন। কিছুদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারী এই ব্যাপারে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন শীর্ষ নেতৃত্বকে। নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, এখন তৃণমূল কংগ্রেস চাপে পড়েছে।

তাই নন্দীগ্রামের মাটি ধরে রাখতে বারেবারে নন্দীগ্রাম আসতে দেখা যাচ্ছে তৃনমূলের নেতা-নেত্রীদের। আর এবার আজ নন্দীগ্রাম দিবস পালনে দুই পক্ষ উঠে পড়ে লেগেছে। আর তার মাঝেই শুভেন্দু অধিকারী সোনাচূড়ার শহীদ মিনারে পৌঁছানোর আগেই তার নামে বিশ্বাসঘাতক পোস্টার লাগিয়ে দিল তৃণমূলের একাংশ। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকা জুড়ে।

জানা যায়, এদিন শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রাম দিবসে শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে সোনাচূড়া যাওয়ার আগেই সেখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পোস্টার লাগানো হয়। যে এই পোস্টারে শুভেন্দু অধিকারীকে “বিশ্বাসঘাতক” বলে আক্রমণ করা হয়েছে। অর্থাৎ ভোটের মরসুমে এইরকম পোস্টার লাগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র তথা বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে কার্যত চাপে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে অনেকে আবার বলছেন, আসলে তৃণমূল নেত্রী নিজেও জানেন, নন্দীগ্রামের লড়াইটা অত্যন্ত কঠিন। তাই এখন শুভেন্দু অধিকারীকে এই সমস্ত কথা বলে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এসব করে লাভের লাভ কিছুই হবে না। নন্দীগ্রামের শহীদদের প্রতি সব সময় শুভেন্দু অধিকারী সংবেদনশীল। তবে যে যাই বলুন না কেন, নন্দীগ্রাম দিবসকে কেন্দ্র করে ভোটের মরসুমে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তৃণমূলের এই পোস্টার শাসক-বিরোধী তরজাকে কতটা তীব্র করে তোলে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।