এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ২৬ এর আগেই নতুন সরকার রাজ্যে, দিশেহারা তৃণমূল ! কটাক্ষ বিজেপির !

২৬ এর আগেই নতুন সরকার রাজ্যে, দিশেহারা তৃণমূল ! কটাক্ষ বিজেপির !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যে যেদিকেই তাকানো যাবে, সেদিকেই শুধু কালো অন্ধকার। তৃণমূল সরকারের আমলে অন্তত এই রাজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে তেমন কোনো আলোর দিন দেখতে পাচ্ছেন না পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রপ্রেমী সাধারণ মানুষ। বেকারদের চাকরি নেই, রাজ্যে শিল্প নেই, সব জায়গায় শুধু দুর্নীতির গন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই বিকল্প রাস্তা একটাই আছে যে, এই সরকারকে উৎখাত করতে হবে। তা না হলে রাজ্যবাসী পরিত্রাণ পাবে না। কিন্তু কবে সেই কাজ করা সম্ভব হবে? 2026 সালে আবার বিধানসভা নির্বাচন। ফলে ততদিন অপেক্ষা করলে তো এই রাজ্য আরও অন্ধকারের মুখে চলে যাবে। কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিজেপি নেতাদের বক্তব্যে উঠে আসছে জল্পনা। অনেকে বলছেন, অতদিন সময় লাগবে না। আর এবার বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সেই জল্পনা আরও বৃদ্ধি পেল। তিনি যে বক্তব্য রাখলেন, তারপর মনে করা হচ্ছে যে, 2026 সালে বিধানসভা নির্বাচন হলেও, তার আগেই এমন কিছু একটা হবে, যার জন্য এই রাজ্যে সরকার পরিবর্তন অনিবার্য।

প্রসঙ্গত, এদিন শহীদ মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির নিচে চাকরি প্রার্থীদের দীর্ঘদিনের বিক্ষোভ নিয়ে বিজেপি নেতাকে প্রশ্ন করা হয়। সরকার কেন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন করতেই এই সরকারকে কটাক্ষ করেন শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “এই সরকারের কাছ থেকে কোনো মানবিক মুখ আশা করাই তো একটা বড় মুর্খামি। এই সরকার সমস্ত চাকরি বিক্রি করেছে। আর যাদেরকে চাকরি দিয়েছে, তাদেরকে যদি এখন সরিয়ে দেয়, তাহলে তো গনবিস্ফোরণ হবে। তাই সেই কাজ এই সরকার করতে পারবে না। বিকল্প রাস্তা একটাই, এই রাজ্যে শাসকের পরিবর্তন। ২৬ এর আগেই এই রাজ্যে সরকার পরিবর্তন হবে। আর তখন নতুন সরকার এই সমস্ত বিষয়গুলো দেখে নেবে।”

আর এখানেই প্রশ্ন যে, ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসা তৃণমূল সরকারের মেয়াদ তো ২০২৬ সাল পর্যন্ত। কিন্তু তার আগেই কি করে এই রাজ্যে সরকার পরিবর্তন হবে? তাহলে কি লোকসভার পরেই ঘুরতে চলেছে বড়সড় কোনো ঘটনা? নাকি রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমশ ভেঙে পড়ছে জন্যই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নেওয়া হতে পারে একটা বড় পদক্ষেপ! আর তারপরেই ঘোষণা হতে পারে এই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের! ইতিমধ্যেই এই সমস্ত বিষয় নিয়ে চর্চা হতে শুরু করেছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

এদিকে গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, তৃণমূল সরকারের আমলে শূন্য হয়ে গিয়েছে এই রাজ্য। মানুষের মধ্যে গ্রাস করেছে হতাশা। তাই এই সরকারকে বিদায় না দিলে পশ্চিমবঙ্গ সুদিন ফিরে পাবে না। লোকসভায় বিজেপি প্রচুর আসনে জয়লাভ করবে। আর তারপরেই এই রাজ্যের সরকার পরিবর্তন হবে। মানুষ তৃণমূলের বিকল্প খুঁজে পেয়ে গিয়েছে। কেন্দ্র যেভাবে উন্নয়ন করে এগিয়ে যাচ্ছে, রাজ্যেও সেই উন্নয়নের ছিটে আসুক, সেটা সাধারণ মানুষ চাইছেন। সেই কারণে আগামী দিনে তৃণমূলকে উৎখাত করবেন পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রপ্রেমী জনসাধারণ বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যের বর্তমান যে পরিস্থিতি রয়েছে, তাতে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সাধারন মানুষরা চাইছেন না যে, আর একদিনও এই তৃণমূল সরকার থাকুক। কিন্তু গণতান্ত্রিক উপায়ে যে এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে, সেটাও জানিয়ে দিচ্ছেন একাংশ। স্বাভাবিক ভাবেই সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে 26 এই হবে বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা এই রাজ্যের সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তার আগেই বেকারদের যন্ত্রণা মেটাতে, পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিন রাজ্যে যাওয়া আটকাতে এবং রাজ্যেই কাজ খুঁজে দিতে তৈরি হতে পারে বিকল্প সরকার। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কিভাবে এই তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করে নতুন সরকার আসবে, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। তবে কিছু যে একটা হবে লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়কালে, তা বোঝাই যাচ্ছে। শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!