এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নির্লজ্জ আইনশৃঙ্খলা! নয়া ইস্যুতে মমতার ঘুম কেড়ে নিচ্ছে বিজেপি!

নির্লজ্জ আইনশৃঙ্খলা! নয়া ইস্যুতে মমতার ঘুম কেড়ে নিচ্ছে বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের সাধারণ মানুষ একটু গণতন্ত্র লাভের আশায় তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনেছিল। কিন্তু তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনে তারা যে চরম ভুলটা করেছে, এখন সেটা বুঝতে পারছে। আইনশৃঙ্খলা তো কবেই এই রাজ্য থেকে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, গণতন্ত্র কার্যত প্রশ্নের মুখে। আর এবার মুনি ঋষিদের ওপর হামলা করতেও পিছপা হলো না কেউ কেউ। প্রতিনিয়ত তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে নিত্য নতুন অভিযোগ উঠছে। কিন্তু তারা আবার দাবি করছে যে, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলাকে নাকি নষ্ট করছে বিজেপি। কোনো এক বিজেপির নেতার বাড়ি থেকে গাঁজা উদ্ধার হয়েছে, আর তা নিয়ে তৃণমূল আসরে নেমে পড়েছে। কিন্তু এসব করে বিজেপিকে যে আটকানো যাবে না, সেটা তৃণমূলও খুব ভালো মত জানে।

কারণ এই পশ্চিমবঙ্গের বুকে বিজেপিকে হেনস্থা করার একমাত্র রাস্তাই হচ্ছে, গাজা কেস দিয়ে সবাইকে গ্রেফতার করো। তবে তৃণমূল যখন এই গাজা উদ্ধারের ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে কটাক্ষ করছে, ঠিক তখনই তৃণমূলকে এই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে রীতিমত তুলোধোনা করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। অনেকে বলছেন, বিজেপি দোষীদের আড়াল করতে চায় না। যদি সত্যিই এরকম কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করে যা শাস্তি দেওয়ার, সেটা দিক প্রশাসন। কিন্তু যখন তৃণমূল নেতারা অপকর্ম ঘটান, তখন কেন তাদের আড়াল করতে চায় এই পুলিশ প্রশাসন? তখন কোথায় যায় এই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা?

প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা কতটা ভালো, সেটা তো বোঝাই যাচ্ছে। আজকে এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থাদের হেনস্থা হতে হয়, তাদের ওপর হামলা করা হয়। পুরুলিয়ায় মুনি ঋষিদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। সাধু সন্তরা আক্রান্ত। ফলে কত ভালো আইন শৃঙ্খলা, তা এটাতেই তো প্রমাণিত।” একাংশের মতে, রাজ্যকে এবং রাজ্যের সাধারন মানুষকে সুশাসন দেওয়াই প্রশাসনের একমাত্র কাজ। কিন্তু সেসব না করে পুলিশ প্রশাসন আজকে বিরোধীদের হেনস্থা করতেই ব্যর্থ। তাদের মিথ্যা কেস দিয়ে জেলে ঢোকাতে ব্যস্ত। ফলে প্রতিনিয়ত অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে, আর বেছে বেছে বিজেপি কর্মীরা গ্রেফতার হচ্ছেন। তাই এই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে তৃণমূলের মুখ থেকে অন্তত বড় বড় কথা মানায় না। তারা একটা ঘটনাকে পেয়ে এখন যতই প্রচার করার চেষ্টা করুন না কেন, মানুষ খুব ভালো জানে, তৃণমূলের চালাকি। আইনশৃঙ্খলার যে অবনতি এই সরকারের আমলে হয়েছে, তার থেকে মুক্তি চাইছেন সাধারণ মানুষ বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, যে বাংলা একসময় প্রতিটি দিক থেকে দেশকে পথ দেখাত, আজকে সেই বাংলাকে দেখে লজ্জা পাচ্ছেন সকলে। পুলিশ প্রশাসনের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়েছে এই সরকার। যদি সত্যিই এত আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সচেতন হন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা, তাহলে আগে নিজেদের শেখ শাহজাহানকে খুঁজে বের করুক। কেন্দ্রীয় সংস্থার ওপর হামলা করে গর্তে ঢুকে আছে, অথচ পুলিশ নাকি তাকে খুঁজে পাচ্ছে না! তাহলে এই রাজ্যের পুলিশ কেমন পুলিশ যে, অপরাধীদের খুঁজে পায় না? অবিলম্বে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে উৎখাত না করলে রাজ্যের মানুষ পরিত্রাণ পাবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রশাসনের আজকে একটাই কাজ, বেছে বেছে বিরোধীদের হেনস্থা করা। কারণ এই রাজ্যকে বিরোধী শূন্য করাই একমাত্র উদ্দেশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারের। কিন্তু তা করতে গিয়ে তারা নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে সামলানো কার্যত সমস্যার কারণ হয়ে গিয়েছে সেই প্রশাসনের কাছে। যার কারণে নিত্য নতুন হেনস্থা হচ্ছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সাধুসন্তরা। তাই প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূলের নেতারা আর যাই হোক, এই রাজ্য প্রশাসন নিয়ে বেশি বড়াই করতে আসবেন না। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!