এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপিকে কুকথা, তৃণমূলের বিনাশ ঘটাতে কুনালই কাফি! বিস্ফোরক হেভিওয়েট!

বিজেপিকে কুকথা, তৃণমূলের বিনাশ ঘটাতে কুনালই কাফি! বিস্ফোরক হেভিওয়েট!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-প্রায় প্রতিদিন ঘটা করে, নিয়ম করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। তার বক্তব্য মানুষ কতটা শোনে, কতটা চর্চা করে, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। দীর্ঘদিন জেল খেটে এসে সেই সময় তৃণমূল দল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রশ্ন তুলে এখন আবার তাদের হয়েই প্রচার করেন। সত্যি কি আজব এই দলের নিয়ম নীতি! তবে এবার সেই কুনাল ঘোষের একটি মন্তব্য নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিজেপির কোনো এক নেতার বাড়িতে প্রচুর গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। তারপর তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। আর সেই ঘটনাকে ইস্যু করে কুনাল ঘোষ ময়দানে নেমে পড়েছেন। তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেছেন, বিজেপি হচ্ছে গাজাখোর। কিন্তু একজন রাজনৈতিক নেতার এটা মুখের ভাষা হতে পারে? আর কারা এই কথা বলছে! যে দলের সিংহভাগ নেতা নেত্রী জেলে রয়েছেন, অনেকে জেলে যাওয়ার অপেক্ষা করছেন, সেই দলের মুখপাত্রের মুখ থেকে শোনা যাচ্ছে এইসব কথা? ফলে মানুষ কিন্তু এটাকে খুব একটা ভালো চোখে নিচ্ছে না। আর কুনাল ঘোষের এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য এমন এক কথা বললেন, যার পর প্রবল চিন্তা তৈরি হয়ে গেল তৃণমূল নেতাদের মধ্যে।

প্রসঙ্গত, এদিন কুনাল ঘোষের এই বক্তব্য নিয়ে শমীক ভট্টাচার্যকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এই বিজেপি নেতা বলেন, “বিজেপিকে আক্রমণ করে কার কি লাভ হবে, আমরা বলতে পারব না। কিন্তু এইসব বলে কুনাল ঘোষ স্বচ্ছতার সঙ্গে, দ্রুততার সঙ্গে, সততার সঙ্গে, অগ্রগতির সঙ্গে তৃণমূলের বিনাশ ঘটিয়ে দেবেন, এইটুকু আমরা বলতে পারি।” অনেকে বলছেন, এটা অত্যন্ত সত্যি কথা যে, কুনাল ঘোষের বক্তব্যই মানুষ শুনতে চায় না। কিন্তু তারপরেও তিনি ঘন্টার পর ঘন্টা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন, মিডিয়াতে টিকে থাকবেন। যাই হোক, এটা তিনি করতেই পারেন। তার দল তাকে দায়িত্ব দিয়েছে, তিনি দায়িত্ব সামাল দিচ্ছেন। কিন্তু মুখপাত্রদের উচিত এমন কিছু কথা বলা, যাতে মানুষের মনে তার খারাপ প্রভাব না করে। এমনিতেই তো তৃণমূলের শাসনে মানুষ বিরক্ত হয়ে রয়েছে। সবাই ভাবছে যে, কবে এই সরকারকে তারা বিদায় জানাতে পারবে! তার মধ্যে বিজেপিকে এই কুনাল ঘোষের মত নেতারা যত বাজে কথা বলবেন, ততই তৃণমূলের অবস্থা খারাপ হবে বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, কুনাল ঘোষের মত ব্যক্তির কাছ থেকে এর থেকে বেশি আর কিই বা আশা করা যায়? তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবার এই দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। তা না হলে যতটুকু বা তার দলের সমর্থকরা রয়েছে, ভবিষ্যতে তারাও পাল্টি খেয়ে যেতে পারেন। তৃণমূলের রুচিবোধ এখন প্রশ্নের মুখে পড়ে যাচ্ছে। যা বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে একেবারেই বেমানান। কুনাল ঘোষ যে সমস্ত কথা বলছেন একজন মুখপাত্র হিসেবে, তা মানুষের পছন্দ হচ্ছে কিনা, এটা ভেবে দেখা উচিত তৃণমূল নেতৃত্বের। কারণ এইসব কথা বলে নিজের দলের বিপদ ডেকে আনছেন এই স্বনামধন্য মুখপাত্র বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলে পিসি ভাইপোর গন্ডগোল নিয়ে কিছুদিন ধরে একটা আলোচনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেটা যে একটা নাটক ছাড়া আর কিছু নয়, তা স্পষ্ট। কিন্তু সেই সময় পিসির পক্ষ অবলম্বনের পাশাপাশি ভাইপোর হয়ে খুব বেশি কথা বলতে দেখা যাচ্ছিল এই কুনাল ঘোষকে। তাহলে কি তিনি এই সমস্ত কথা বলে এখন পিসিকে বিপাকে ফেলতে চাইছেন? বুঝিয়ে দিতে চাইছেন যে, তিনি এই সমস্ত কথা বলবেন, তার ফলে দল বিপাকে পড়বে, আর সেই সময় পিসির বদলে ভাইপো এসে দায়িত্ব নেবেন, আর তাতে তার সুবিধে হয়ে যাবে! যদি এটা হয়, তাহলে অবশ্যই নিজের দলের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত তৃণমূল নেত্রীর। আর যদি তৃণমূল এই রুচিবোধেই বিশ্বাস করে, তাহলে সত্যিই তাদের কিছু বলার নেই। এমনিতেই তাদের যে করুণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে এই সমস্ত কথা যত সামনে আসবে, ততই মানুষের থেকে সরে যাবে আঞ্চলিক দল তৃণমূল কংগ্রেস। শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!