এক নম্বরে বিজেপিই, ইন্ডি জোটের ঘুম কাড়লেন হেভিওয়েট! জাতীয় তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য January 15, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধীরা সবাই মিলে একজোট হয়ে ভেবেছিলেন, দেশে বিজেপিকে সরাবেন। কিন্তু এখন নিজেদের মধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে দড়ি টানাটানি। কে মুখ হবে, কে মুখ হবে না, তা নিয়ে চলছে সংঘাত। অনেকে আবার আসন বন্টন নিয়ে খুশি নন। এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস তো একজন প্রতিনিধিও পাঠায়নি শেষ বৈঠকে। পশ্চিমবঙ্গে এই ইন্ডি জোটের যারা যারা রয়েছেন, তাদের আসন বন্টন কিভাবে হবে, সেটাই একটা বড় প্রশ্ন। আর এসবের মধ্যেই বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বড় দাবি করে বসলেন। এমনিতেই বিজেপি আশাবাদী যে, এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে তারা বড় মাপের আসন পাবেন। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন যে, বিজেপি এবার এক নম্বরেই থাকবে। প্রসঙ্গত, এদিন আগামী লোকসভা নির্বাচন নিয়ে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন “বিজেপি এক নম্বরে থাকবে। বাকি কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল দুই নম্বর, তিন নম্বর নিয়ে লড়াই করবে। কিন্তু আমরাই এক নম্বরে থাকব।” একাংশ বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে শাসক দলের ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেদিক থেকে তৃণমূল এই ইন্ডি জোটে যারা রয়েছেন, সেই বাম এবং কংগ্রেসকে কোনোমতেই এই বাংলায় তারা যে আসন চাইবে, সেই আসন দেবে না। তারপরে এমনিতেই সেই জোটে ভাঙ্গন দেখা দেবে। আর দ্বিতীয় কথা, এই তৃণমূলের ওপর মানুষ প্রবলভাবে বিরক্ত হয়ে রয়েছেন। তাই লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় অত্যন্ত ভালো ফলাফল করার সুযোগ রয়েছে বিজেপির। স্বাভাবিক ভাবেই যত সময় যাচ্ছে, ততই বিজেপি নেতারা বাংলায় তো বটেই, গোটা ভারতবর্ষেও আবার ক্ষমতায় আসা নিয়ে আত্মপ্রত্যয়ী মনভাব প্রকাশ করছেন। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, ইন্ডি জোটের পিন্ডি চটকে গিয়েছে। দেশের মানুষ এই জগাখিচুড়ি জোটকে ভরসা করে না। বাংলাতেও এবার চরম শিক্ষা পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। দুর্নীতি, পরিবারবাদের বিরুদ্ধে রায় দেবেন ভারতবর্ষের মানুষ বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।পর্যবেক্ষকদের মতে, এই ইন্ডি জোটে যারা যারা রয়েছেন, সেই সমস্ত দলের অধিকাংশ নেতা-নেত্রী দুর্নীতিগ্রস্ত। অনেকে আবার জেলের ভেতরে রয়েছেন। ফলে তারা সবাই একত্রিত হওয়া মানে বোঝাই যাচ্ছে যে, বিজেপিকে তারা কতটা ভয় পাচ্ছে। তবে এভাবে যে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে চলা ভারতীয় জনতা পার্টিকে তারা সরাতে পারবে না, এটা সেই জোটের নেতারাও খুব ভালো মত জানেন। তাই লড়াই করা তো অনেক দূরের কথা, এখনও পর্যন্ত তারা নিজেদের মধ্যে আসন নিয়ে সমঝোতা পর্যন্ত করতে পারেননি। স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়ে নিজেদের কার্যকলাপ বাস্তবায়িত করে এগিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আগামী 22 জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে আরও একবার নিজেদের প্রতিশ্রুতি পূরণের পথে এগিয়ে যাবে গেরুয়া শিবির। আর এই সবকিছু মিলিয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়বেন বিরোধী জোটের নেতারা। গোটা দেশ তো বটেই, পদ্মময় হয়ে উঠবে এই বাংলাও। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -