এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অযোধ্যাই ভরসা, মমতার মুখে ঝামা ঘষলো বাংলা! তুলোধোনা সুকান্তর!

অযোধ্যাই ভরসা, মমতার মুখে ঝামা ঘষলো বাংলা! তুলোধোনা সুকান্তর!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্য কে নিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে উঠে আসে এগিয়ে বাংলার কথা। কিন্তু বাংলা কতটা এগিয়েছে, তা তো পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা দেখলেই বোঝা যায়। আগামী 22 জানুয়ারি হিন্দু সনাতনীদের দীর্ঘ প্রত্যাশা পূরণ হতে চলেছে। অযোধ্যায় উদ্বোধন হতে চলেছে রাম মন্দিরের। আর তা নিয়ে উৎসব মুখর গোটা দেশ। কিন্তু কোনো কোনো বিরোধী দলেরা আবার এটাকে সহ্য করতে পারছে না। যাই হোক, সেটা পরের কথা। কিন্তু এই বাংলায় যে কর্মসংস্থান নেই, এই বাংলার মানুষরা যে অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে, সেটা আবার স্পষ্ট হয়ে উঠে এলো। যেখানে খেজুরি থেকে এক ব্যক্তি অযোধ্যায় এই রাম মন্দির উদ্বোধনের আগেই সেখানে দোকান চালিয়ে নিজের ব্যবসা এবং দিন গুজরাণ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। আর এই বিষয়টি সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমিকা নিয়ে। প্রশ্ন উঠছে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বড় বড় ভাষণ নিয়ে। অনেকে বলছেন, মন্দিরের সামনে দোকান করা নতুন কোনো বিষয় নয়। বাংলাতেও এরকম রয়েছে। কিন্তু খেজুরি থেকে এক ব্যক্তি কেন বাংলায় অনেক ঐতিহ্যমন্ডিত মন্দির থাকা সত্ত্বেও সেখানে ব্যবসা না করে অযোধ্যায় চলে যাচ্ছেন। এর ফলে তো এটাই স্পষ্ট হচ্ছে যে, এই রাজ্যে লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। সেই কারণেই তারা অন্য রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন। স্বভাবতই সাংবাদিকরা এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতেই রীতিমত রাজ্যকে তুলোধোনা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

প্রসঙ্গত, এদিন এই বিষয় নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে একটি প্রশ্ন করা হয়। যে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “দেখুন মন্দিরের সামনে দোকান করা ব্যবসা করাটা নতুন কিছু নয়। বাংলাতেও এরকম রয়েছে। কিন্তু আপনারা ভাবতে পারেন, খেজুরি থেকে এতদূর অযোধ্যায় গিয়ে কেউ ব্যবসা করছেন! কেন, বাংলাতেও তো কালীঘাট মন্দির ছিল। তার বাইরে কেন ব্যবসা করলেন না? তাহলে এই থেকে এটাই স্পষ্ট হচ্ছে যে, এই রাজ্যে কাজ নেই। মানুষ অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে।” একাংশ বলছেন, রাজ্যে যে কাজ নেই, সেটা তো অনেকদিন আগে থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। সব চাকরি টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছে এই সরকার। যার কারণে শিক্ষিত চাকরি প্রার্থীরা দিনের পর দিন রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন। তবুও এই সরকারের লজ্জা হচ্ছে না। তবে খেজুরি থেকে এত দূরে ব্যবসা করতে যাওয়ার যে চিত্র সামনে এলো, তাতে দুটো জিনিস উঠে এলো যে, এই রাম মন্দির নিয়ে যারা বিরোধিতা করছেন, তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। কারণ মানুষ ভরসা রাখছে সেই রাম মন্দিরের ওপর এবং সেখানে একটা ব্যবসার সম্ভাবনার ওপর। আর দ্বিতীয়ত, তৃণমূল আমলে বাংলার কতটা সর্বনাশ হয়েছে, সেই বিষয়টিও এই ঘটনা সামনে আসার পর বড় ইঙ্গিত করছে বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যের সব দিক থেকে সর্বনাশ হয়েছে। বড় বড় গলায় শুধুই ভাষণ দিয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কাজের কাজ করেন না। আজকে রাজ্যের প্রচুর মানুষ ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছে শুধু কাজ পাওয়ার আশায়, একটু বাড়তি বেতনের আশায়। কিন্তু এই রাজ্যকে এগিয়ে বাংলা বলে সম্বোধন করলেও মুখ্যমন্ত্রী সবদিক থেকে পিছিয়ে দিয়েছেন। তাই এই সরকারকে বিদায় না জানালে রাজ্যের মানুষের কাছে সুদিন আসবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কোথায় খেজুরি আর কোথায় অযোধ্যা! কতটা পেটের টান থাকলে এবং কাজ করার ইচ্ছা থাকলে মানুষ এটা করতে পারে! সত্যিই এই রাজ্যের কি করুণ পরিণতি করেছে তৃণমূল সরকার! যারা এখনও তৃণমূলের প্রতি বিশ্বাস রেখেছেন, তারা অন্তত এই ঘটনার পর নিজেদের চোখ থেকে রুমালটা খুলে ফেলুন। শুধুমাত্র 500 টাকা দিয়ে মহিলাদের খুশি করে তাদের সন্তানকে চাকরি না দেওয়ার যে প্রবণতা রাজ্যে তৈরি হয়েছে, তা ভয়ংকর। আসলে যতক্ষণ না এই সরকারকে বিদায় দেওয়া যাবে, ততক্ষণ এই রাজ্যের ওপর ভরসা রাখতে পারবেন না খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। কারণ এই রাজ্যে কাজ নেই, প্রাপ্য বেতন নেই। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!