এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রেল পরিষেবা কি স্বাভাবিক হচ্ছে 15 ই এপ্রিল থেকে? ভারতীয় রেলের নতুন দাবি ঘিরে বাড়ছে জল্পনা

রেল পরিষেবা কি স্বাভাবিক হচ্ছে 15 ই এপ্রিল থেকে? ভারতীয় রেলের নতুন দাবি ঘিরে বাড়ছে জল্পনা

করোনা সংক্রমণের জেরে মার্চ মাসের শেষের দিকে বন্ধ হয়ে যায় রেল পরিষেবা। যেহেতু রেলের মাধ্যমে জনসমাগম ঘটে সবথেকে বেশি, তাই সবার প্রথম রেল চলাচল বন্ধ করা হয়। আর তারপরেই শুরু হয় লকডাউন পরিস্থিতি। লকডাউন এর আওতা থেকে বাদ গেছে শুধুমাত্র পণ্যবাহী রেল অর্থাৎ মালগাড়ি। অন্যদিকে রেল বন্ধ হওয়ার কারণে নিত্যযাত্রীদের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। ফলস্বরূপ দেশের সর্বত্র বেশিরভাগ অফিস work-from-home হয়ে গেছে ইতিমধ্যে।

তবে আগামী 14 ই এপ্রিল লকডাউন উঠে যাবার পর অর্থাৎ 15 ই এপ্রিল থেকে স্বাভাবিকভাবে প্যাসেঞ্জার ট্রেন আবার চলাচল শুরু করতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। কয়েকটি মিডিয়ায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ১৪ ই এপ্রিল পর্যন্ত রেলের বুকিং বন্ধ থাকলেও, ১৫ ই এপ্রিল থেকে আবার নতুন করে বুকিং শুরু হয়েছে। কিন্তু ভারতীয় রেল এই গুজব উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে, এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। 15 এপ্রিল এর পরের নিয়মে কোন রকম পরিবর্তন হয়নি। সুতরাং নতুন করে রেলের বুকিং চালু করার কোন প্রশ্নই নেই।

রেলের এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায় জানা গেছে, আইআরসিটিসি অনুযায়ী যেভাবে 15 এপ্রিলের পর থেকে বুকিং ছিল ঠিক সেভাবেই থাকবে। 14 ই এপ্রিল পর্যন্ত ভারতীয় রেল পরিষেবা বন্ধ থাকবে। কিন্তু 15 এপ্রিল থেকে তা আবার স্বাভাবিক হবে, যদি লকডাউন উঠে যায়। তবে করোনার জেরে মার্চের শেষ থেকেই ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা কমতে শুরু করেছিল। উল্লেখ্য, বিশাল জনসমাবেশ ঘটে এই রেল পরিষেবার মাধ্যমেই। তাই রেল বন্ধ হওয়ায় সাধারণ মানুষও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে, রেলের ওই শীর্ষ আধিকারিক যতই রেল চলাচল স্বাভাবিক হওয়া নিয়ে আশার বাণী শোনান না কেন, বিশেষজ্ঞদের খটকা লাগছে ওই ‘যদি’ শব্দটিতেই। এখানে স্পষ্ট করে কিন্তু বলা হয় নি, ১৫ ই এপ্রিল থেকেই রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে বা হচ্ছে না। এখানে বলা হয়েছে লকডাউন উঠে গেলে – রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হবে। অর্থাৎ রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়া বা না হওয়া সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি মিলিতভাবে কি সিদ্ধান্ত নেয় তার উপরেই।

অন্যদিকে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল পয়লা এপ্রিল প্রয়োজনীয় ওষুধ ও খাদ্যদ্রব্য রেল পরিবহণের মাধ্যমে অনেক জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী 9000 মালগাড়ি লকডাউন এর মধ্যেই চলাচল করেছে। যদিও লকডাউন হলেও তার মধ্যেই বিভিন্ন জায়গা থেকে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে করোনা সংক্রমণের প্রতিরোধ খাতে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল খুলেছেন। অন্যদিকে, দেশজুড়ে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা মরণপণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন করোনা ভাইরাস এর সঙ্গে।

তবে এখনো পর্যন্ত যা খবর, তাতে জানা যাচ্ছে এ পর্যন্ত সবথেকে বেশি করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে কেরল এবং মহারাষ্ট্র থেকে। তবে প্রশাসনিক স্তরে যত রকম পদক্ষেপই নেওয়া হোক না কেন, এই মুহূর্তে করোনার প্রভাব ভারত বর্ষ সহ গোটা বিশ্বে মুহূর্তে মুহূর্তে বেড়ে চলেছে। তাই করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে থামবে, তা জানা নেই কারোর। শুধুমাত্র স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কথার ওপর ভিত্তি করেই করোনা ভাইরাসকে ঠেকাতে সর্তকতা ও সচেতনতা নিয়ে ভারতসহ সারা বিশ্ব লড়াই করছে করোনার বিরুদ্ধে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!