এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপির সাথে যুদ্ধে কাঁথি পুরসভা দখল করতে কোন গেমপ্ল্যান তৃণমূলের? বৈঠক নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

বিজেপির সাথে যুদ্ধে কাঁথি পুরসভা দখল করতে কোন গেমপ্ল্যান তৃণমূলের? বৈঠক নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে চলে যাবার পর থেকে থেকেই কার্যত তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অলিখিত সংঘাত তৈরি হয় অধিকারী পরিবারের। আর সে কারণেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কাছে বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রেস্টিজ ফাইট ছিল বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু ফলাফলের ভিত্তিতে দেখা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অধিকাংশ তৃণমূলের দখলে গিয়ে থাকলেও কাঁথি উত্তর এবং দক্ষিণ এই দুটি আসনেই কিন্তু জয় পেয়েছে বিজেপি। তাই বিজেপিকে কোণঠাসা করতে কাঁথির পুরসভা দুটি এবার নিজেদের দখলে নিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ঘাসফুল শিবির।

কার্যত এই দুটি পুরসভায় গত 35 বছর ধরে অধিকারী পরিবারই দাপট চালিয়ে আসছিল বলে দাবি তৃণমূলের। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই অধিকারী পরিবারকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় কাঁথি পুরসভা থেকে। প্রথমত প্রশাসনিক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে। আর কিছুদিন পরেই আসতে চলেছে পুর নির্বাচন। সেক্ষেত্রে পুরভোটের হাত ধরে যাতে অধিকারী পরিবারের সদস্যরা এবং ঘনিষ্ঠরা যাতে আর উঠে দাঁড়াতে না পারে, তারই পরিকল্পনা চলছে তৃণমূলে। সেক্ষেত্রে অধিকারী পরিবারের বিরোধী হিসেবে পরিচিত জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে নেতা হিসেবে সামনে রাখা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে অধিকারী পরিবারের বিরোধী হিসেবে পরিচিত আর এক তৃণমূল নেতা অখিল গিরি। সূত্রের খবর শনিবার কাঁথি পুরসভার বর্তমান কো-অর্ডিনেটরদের নিয়ে একটি বৈঠক করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির পাশাপাশি সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র এবং প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর। এরা প্রত্যেকেই অধিকারী পরিবারের বিরোধী নেতা হিসেবে পরিচিত এলাকায়। অন্যদিকে বিধানসভা ভোটের পর কাঁথি পুরসভার দায়িত্ব নিয়েছেন অধিকারী পরিবারের আরেক বিরোধী সিদ্ধার্থ মাইতি। তিনিও এই বৈঠকে ছিলেন বলে জানা যায়। অন্যদিকে তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন, এই বৈঠকে পুরভোট নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

শুধুমাত্র এলাকার বেশ কিছু সার্ভে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে মন্ত্রিসভার দুই সদস্য এই বৈঠকে থাকার জন্য প্রশ্ন উঠছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। কাঁথি এলাকার রাজনীতি মূলত পুরসভা ভিত্তিক। সেক্ষেত্রে পুর পরিষেবা বাড়িয়ে কাঁথির মাটি দখল করার প্রবল চেষ্টা চলছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। তবে এই বৈঠকে কি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, তা নিয়ে অবশ্য বিশেষ কিছু এখনো জানা যায়নি। তবে রাজনীতির কারবারিদের মতে, কাঁথি পুরসভা দুটি তৃণমূল যদি পুরভোটে দখল করতে না পারে এবং বিজেপি যদি জিতে যায়, সেক্ষেত্রে একদিকে যেমন গেরুয়া শিবিরের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বাড়বে, অন্যদিকে তৃণমূলের সংগঠন প্রশ্নের মুখে পড়বে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!