এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > গোষ্ঠী কোন্দলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত এলাকা, ছাড় পেল না পুলিশও! জোর চাঞ্চল্য!

গোষ্ঠী কোন্দলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত এলাকা, ছাড় পেল না পুলিশও! জোর চাঞ্চল্য!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই, এই অভিযোগ বিরোধীদের দীর্ঘদিনের। এক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন অনেক ক্ষেত্রেই নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলেও সরব হয়েছে বিরোধী দল বিজেপি। এক্ষেত্রে ইকবালপুরের ঘটনায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে পুলিশের আক্রান্ত হওয়ার খবর বিরোধীদের সেই দাবিকেই কার্যত সামনে নিয়ে এলো।

জানা যায়, মূলত দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ অনুষ্ঠিত হয়। আর তারপরেই উত্তপ্ত হয় এলাকা। পরবর্তীতে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। আর এরপর থেকেই যে পুলিশ প্রশাসন সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেবে, সেই পুলিশ প্রশাসন দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হওয়ায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জনসাধারণের মধ্যে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই একবালপুর এলাকায় দুই ব্যক্তির মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদ রয়েছে। মূলত কাদের দখলে এলাকা থাকবে, তা নিয়েই ইমরান এবং ইডলি ভিকির মধ্যে মাঝেমধ্যেই দ্বন্দ্ব তৈরি হতে দেখা যায়। শনিবার দুই গোষ্ঠীর মধ্যেকার দ্বন্দ্ব ভয়াবহ আকার ধারণ করে। পরবর্তীতে পুলিশ এসে এলাকার সাহায্য করতে উদ্যত হলেও লাভ হয়নি। বরঞ্চ দুষ্কৃতীদের পক্ষ থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। আর এরপরই গুরুতর জখম হন সঞ্জয় পান্ডা নামে এক পুলিশকর্মী। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনার পর থেকেই এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, খাস কলকাতার মত এলাকায় যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকে, তাহলে রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের কি অবস্থা, তা কার্যত পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। পুলিশ সাধারণ মানুষের পাশে থাকার জন্য। কিন্তু এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর অশান্তি থামাতে এসে যদি সেই পুলিশকেই আক্রান্ত হতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবেন, এখন সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে অনেকের মধ্যে।

স্বাভাবিকভাবেই ইকবালপুরের মত এলাকায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে পুলিশের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এখন বিরোধীদের কাছেও বড় হাতিয়ার হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!