এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > বাবুলের গড়ে ভাঙ্গন, বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি দিলীপ ঘোষের, শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে!

বাবুলের গড়ে ভাঙ্গন, বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি দিলীপ ঘোষের, শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হওয়ার পর থেকেই একের পর এক নেতা বেসুরো হতে শুরু করেছেন। উপরতলা থেকে শুরু করে নীচুতলায় ভাঙনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে সেই ভাঙ্গন বাস্তবের মাটিতে প্রকট হয়ে উঠেছে। বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত আসানসোল। কিন্তু সেই আসানসোলেও শেষ রক্ষা হল না। যেখানে প্রায় 35 জন হেভিওয়েট নেতা যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে।

আর তারপরেই সঠিক নিরাপত্তা দিতে না পারার কারণেই যে এই সমস্ত হেভিওয়েট নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন, সেই কথা কার্যত স্বীকার করে নিতে দেখা গিয়েছে আসানসোলের বিজেপি সংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে। অর্থাৎ কিছুদিন আগেই এই একই মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। আর এবার তার সুরেই সুর মেলাতে দেখা গেঋ বাবুল সুপ্রিয়কে।

স্বাভাবিক ভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতায় থাকা বিজেপি বিরোধী দলের নেতাদের ওপর আক্রমণ হওয়ার পরেও, তাদের দলবদল আটকাতে কেন কোনো রকম নিরাপত্তা দিতে পারছে না, এখন তা নিয়ে দলের অন্দরে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, তাহলে কি দল ভারী করতে চায় না ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য নেতৃত্ব? আর সেই কারণে একের পর এক হেভিওয়েট নেতা দলত্যাগ করা সত্ত্বেও, তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ভাবছে দেখা যাচ্ছে না গেরুয়া শিবিরকে! দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে বাবুল সুপ্রিয়র মন্তব্যের পর এখন এই প্রশ্নই ক্রমাগত মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে রাজ্যজুড়ে।

বস্তুত, রবিবার বিজেপি ছেড়ে আসানসোলের হেভিওয়েট নেতারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। যাদের ঘাসফুল শিবিরে স্বাগত জানান রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। আর বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আসানসোলে এইরকম ভাঙ্গন ধরার পরই বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায় সেখানকার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে। যেখানে কিছুদিন আগেই নিরাপত্তা দিতে না পারার কারণেই একের পর এক নেতা দলত্যাগ করছেন বলে দাবি করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আর এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। যেখানে তিনি লেখেন, “দিলীপদার সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত যে, ভোট পরবর্তী তৃণমূলের সন্ত্রাসের সময় আমরা আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে পারিনি। তৃণমূল জয়েন করার সেটাও একটা বড় কারণ।” অর্থাৎ নিজেদের ব্যর্থতা কার্যত স্বীকার করে নিতে দেখা গেল বাবুল সুপ্রিয়কে। যার ফলে গেরুয়া শিবিরের অনেকেই নেতাদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

বিজেপির অনেকে বলছেন, দিলীপ ঘোষ যেমন রাজ্য সভাপতি, তেমনই সাংসদ। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তার সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। পাশাপাশি বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি সাংসদ, আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেদিক থেকে কর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য এবং তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার খাতিরে কেন তারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে দরবার করলেন না! যদি তারা বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করা এই সমস্ত নেতাদের নিরাপত্তা দিতেন, তাহলে সেই সমস্ত নেতারা কোনোমতেই শিবির বদল করতেন না।

তাই এখন তা উপলব্ধি করে শুধুমাত্র অনুশোচনা করে কি বোঝাতে চাইছেন দিলীপ ঘোষ এবং বাবুল সুপ্রিয়! তাহলে কি তারা চাইছেন না যে, দল আরও বৃহৎ হোক! তাই সেই কারণে সমস্ত কিছু জেনে বুঝেও ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের শিকার হওয়া নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা না দিয়ে কার্যত নীরব হয়ে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে তাদের? দিলীপ ঘোষ এবং বাবুল সুপ্রিয়র বিস্ফোরক মন্তব্যের পর এখন এই প্রশ্নই তুলছেন বিজেপির নীচুতলার নেতা-কর্মীরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!