এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপির নতুন সভাপতি নিয়ে জল্পনা চরমে, অমিত শাহ ডেকে পাঠালেন রাজ্য নেতাদের

বিজেপির নতুন সভাপতি নিয়ে জল্পনা চরমে, অমিত শাহ ডেকে পাঠালেন রাজ্য নেতাদের


প্রথম দফায় নরেন্দ্র মোদী যখন প্রধানমন্ত্রী হন, তখন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন রাজনাথ সিং। কিন্তু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভায় তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দেওয়া হয়। ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি মেনে তিনি জাতীয় সভাপতির পদ থেকে সরে যান। ফলে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নেন নরেন্দ্র মোদির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অমিত শাহ। গত ডিসেম্বর মাসে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও, লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে তাঁকেই সভাপতি হিসাবে কাজ চালিয়ে যেতে বলে দল।

কিন্তু তিনি এবারে গুজরাটের গান্ধীনগর থেকে লোকসভা নির্বাচনে লালকৃষ্ণ আডবাণীর ছেড়ে যাওয়া আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং যেতেন। নরেন্দ্র মোদিও তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ‘সেকেন্ড ম্যান’ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব দেন। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক সামলে সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে কাজ চালানো কার্যত অসম্ভব। আর তাই, বিজেপির অন্দরমহলে জল্পনা ছড়িয়েছে – যে এবার সভাপতির পদ থেকে সরে যাবেন অমিত শাহ।

এর পরিপ্রেক্ষিতে জল্পনা ছড়িয়েছে, তাহলে অমিত শাহের স্থলাভিষিক্ত হবেন কে? বিজেপির অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে একাধিক ফর্মুলা। কেউ জানাচ্ছেন – সামনেই তিন গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। বছরের শেষের দিকে হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন হয়ে গেলে তখন সভাপতি পদ থেকে সরবেন অমিত শাহ, তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন নতুন সভাপতি। ততদিন অমিত শাহই সভাপতি থাকুন, তাঁকে কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসাবে সাহায্য করুন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জে পি নাড্ডা। প্রসঙ্গত, জে পি নাড্ডাকে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় ঠাঁই দেন নি প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে রণকৌশল তৈরির জন্য বিজেপির অন্দরে জে পি নাড্ডার ভূমিকা সর্বজনবিদিত। তাছাড়া, বিজেপির অন্দরে নাম উঠছে আরেক ‘মাস্টারমাইন্ড’ ভূপেন্দ্র যাদবের। এমনকি, বিজেপির আরেকটি অংশ কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র নাম নিয়েও আলোচনা করছে। কেননা, তাঁকে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে বলা হলে বা লোকসভায় ভোপাল থেকে টিকিট দিতে চাওয়া হলেও, তিনি সাংগঠনিক কাজ নিয়েই দলের পাশে থেকেছেন। এমনকি সূত্রের খবর তাঁকে রাজ্যসভা থেকে জিতিয়ে এনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় স্থান দিতে চাওয়া হলেও তিনি নেন নি।

ফলে, বিজেপি একাংশ চাইছে প্রত্যেক বছরই কোথাও না কোথাও নির্বাচন লেগেই থাকবে। আর অমিত শাহের বিকল্প হিসাবে যাঁদের নাম উঠছে, তাঁরা কেউই অভিজ্ঞতায় কম যান না। ফলে, এখনই সঠিক সময়, অমিত শাহের ভার লাঘব করে নতুন মুখ তুলে আনার। এই পরিপ্রেক্ষিতে জানা গেছে, আগামী ১৩ ও ১৪ জুন দেশের সবকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিজেপি নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। ফলে, জল্পনা ছড়িয়েছে যে লোকসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর সাংগঠনিক নির্বাচনের পথে বিজেপি। পাশাপাশিই, আগামী দিনে রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচন নিয়েও বড়সড় সিদ্ধান্ত হতে চলেছে ওই বৈঠকে বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!