এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অযোধ্যায় রামমন্দিরের স্বপ্ন সফল হতেই এবার কাশী-মথুরা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে গেরুয়া শিবির?

অযোধ্যায় রামমন্দিরের স্বপ্ন সফল হতেই এবার কাশী-মথুরা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে গেরুয়া শিবির?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মূলত রাম মন্দির আন্দোলন বা হিন্দুত্ববাদের পথ ধরেই ভারতবর্ষের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বিজেপির উত্থান ঘটেছিল, যা বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের অভিমত। নব্বইয়ের দশকে যখন বাবরি মসজিদ বনাম রাম মন্দির লড়াই জোরদার হয়ে উঠেছিল সময়ে কান পাতলেই শোনা যেত বিজেপির একটি স্লোগান। যেটি ছিল, ” অযোধ্যা তো ঝাঁকি হ্যায়, মথুরা-কাশী বাকি হ্যায়।”

এরপরের ইতিহাস সকলেরই জানা। বহুকাল ধরে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের অলিন্দ পেরিয়ে অবশেষে গত বছরের ৯ ই নভেম্বরে সুপ্রিমকোর্টে জয়যুক্ত হলো রামমন্দির। আর আগামীকাল বুধবার হতে চলেছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের শিলান্যাস তথা ভূমিপুজন। এককথায়, মধ্যযুগ, ইংরেজ যুগের ওপর হতে আসা রামমন্দির আন্দোলন এতদিনে সফল হলো। তবে হিন্দুত্বের ধজ্বাধারীদের এবারের এজেন্ডা কি হবে? আগামী উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোট বা পরবর্তী লোকসভা ভোটে তবে কি নিয়ে মূল প্রচার চলবে? এবার কি তবে মথুরা, কাশীর মন্দিরের পুনর্দখল নিয়ে সোচ্চার হতে চলেছে সংঘ পরিবার সহ বিজেপি?

বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব অবশ্য এখনো এ নিয়ে নির্বাক। কিন্তু বিজেপি দলের কট্টর মুখ হিসেবে পরিচিত বিনয় কাটিয়ার এ প্রসঙ্গে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, রাম জন্মভূমির মতো, কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির ও মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির মন্দির থেকে মসজিদের অপসারণ তাঁদের বহুদিনের লক্ষ, যে লক্ষে ইতিমধ্যেই তাঁরা এগোতে চলেছেন। এ প্রসঙ্গে তাঁর অভিমত, “এ বার মথুরায় শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির থেকে শাহি ইদগা ও কাশী বিশ্বনাথ মন্দির চত্বর থেকে জ্ঞানবাপী মসজিদ হটানোর পালা।” অন্যদিকে আবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদও মথুরার মন্দির ও কাশী বিশ্বনাথের মন্দিরকে মসজিদের দখলমুক্ত করার জন্য দীঘদিন ধরে দাবি করে এসেছেন। কিন্তু এবিষয়ে এবার তাঁরা নিতে চলেছেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। যার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেও দিয়েছে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সহ একাধিক বিন্দু সংগঠন। তবে, বিজেপির উচ্চ নেতৃত্ব এবিষয়ে এখনো সম্পূর্ণ রূপে নীরব। এমনটাই সংবাদসূত্রে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে দেশে ক্ষমতাসীন পি ভি নরসিংহ রাওয়ের সরকার সেসময় ধর্মীয় উপাসনাস্থল বিষয়ে একটি বিশেষ আইন পাস্ করেছিল। এই আইনের ৪ নং ধারায় পরিষ্কার ভাবে নির্দেশিত হয়েছিল, স্বাধীনতা দিবসের দিন থেকে দেশে যেসব ধর্মীয় কাঠামো আছে, কোনোভাবেই তার চরিত্রের বদল ঘটানো যাবে না। অর্থাৎ, কোন মন্দিরের স্থানে যেমন মসজিদ বানানো যাবে না, অনুরূপ ভাবে কোন মসজিদের স্থানেও কোন মনির নির্মাণ করা যাবে না। অবশ্য এই আইনের ৫ নং ধারানুসারে, রাম মন্দিরকে এই আইনের আওতার বাইরে রাখা হয়। কারণ, রাম মন্দির আন্দোলন ছিল স্বাধীনতার পূর্ববর্তী একটি ঘটনা।

সম্প্রতি, গত জুন মাসে মহাসঙ্ঘ পুরোহিত বিশ্ব ভদ্র পুজারী নরসিংহ রাও সরকারের উক্ত আইনের ৪ নম্বর ধারাটি অসাংবিধানিক ঘোষণা করে, এই ধারা প্রত্যাহারের দাবিতে সুপ্রিমকোর্টে যান। তাঁর সংগঠনের তরফ থেকে দাবি করা হয়, স্বাধীনতার আগে যেসব হিন্দু প্রতিষ্ঠান মুসলমান শাসক কতৃক দখলীকৃত হয়েছিল, এই আইনের ফলে সেই প্রতিষ্ঠানগুলি পুনরুদ্ধার করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আর এতেই জল্পনা বাড়ছে তবে এবার কি শুরু হতে চলেছে মথুরা, কাশীর জমি বিবাদ নিয়ে আইনি লড়াই। সংবাদসূত্রে জানা গেছে নরসিংহ রাও সরকারের উপাসনাস্থল সংক্রান্ত আইনের বিরুদ্ধে জনমত তৈরী করতে ইতি মধ্যেই পথে নেমে পড়েছে সংগঠন।

এর উপরে মথুরার শাহী ঈদ্গারের কাছে সাড়ে চার একর জমি দাবি করেছে শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি ট্রাস্ট। তাঁদের উদেশ্য সেস্থলে একটি রঙ্গমঞ্চ নির্মাণ। তবে সবদিক বিচার বিবেচনা করেই এই মথুরা, কাশীর বিষয়ে এগোতে চায় বিজেপি। এ প্রসঙ্গে জনৈক বিজেপি নেতা বলেছেন, “১৯৮৪ সালে বিজেপি অযোধ্যা, কাশী ও মথুরা থেকে মসজিদ সরানোর ডাক দেয়। ১৯৮৯ সালে সেই প্রস্তাব পাশ হয়। তার পর রথযাত্রা। ৯২-এ বাবরি মসজিদের পতন। ২০২০ সালে সেই অযোধ্যায় ভূমি পুজো হচ্ছে। সুতরাং বিষয়টিতে যে সময় লাগবে, দল তা জানে। তাই মেপে পা ফেলার পক্ষপাতী আমরা।’’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!