এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > লকডাউনে অন্যসব ব্যবসা ফেল করলেও, নতুন এই চাহিদায় ফুলেফেঁপে উঠছেন ব্যবসায়ীরা, জানুন বিস্তারে

লকডাউনে অন্যসব ব্যবসা ফেল করলেও, নতুন এই চাহিদায় ফুলেফেঁপে উঠছেন ব্যবসায়ীরা, জানুন বিস্তারে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মার্চের শেষ থেকে দেশজুড়ে করোনার প্রকোপ দেখা যায়। তড়িঘড়ি শুরু হয় লকডাউন। মানুষ হয়ে পড়ে গৃহবন্দী। সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। যদিও কোন কোন জায়গায় শুরু হয়ে যায় কাজের ধারাবাহিকতা। আর তার জন্য বেছে নেওয়া হয় work from home অপশন। স্কুল কলেজ গুলিও শুরু করে দেয় অনলাইন ক্লাস। সব ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়ে পড়ে প্রযুক্তির। বলা যেতে পারে, করোনার জন্য আজ ঘরে ঘরে আজ প্রযুক্তির সমাবেশ। এতদিন পর্যন্ত যেখানে অফিস কাছারিতে দরকার পড়তো কম্পিউটার, ল্যাপটপের।

সেই ল্যাপটপ, ডেস্কটপ এবার ঘরে এসে ভিড় করেছে। অনলাইন ক্লাসের জন্য বাধ্য হয়ে ছোট থেকে বড় সবাইকেই আশ্রয় নিতে হচ্ছে দামি মোবাইলের, ল্যাপটপের, ডেস্কটপের। তবে সাধারণ মানুষ ইএমআই পদ্ধতির মাধ্যমে কিছুটা সুবিধাজনক পদ্ধতিতে প্রযুক্তির হাত ধরতে পেরেছে। প্রাথমিক অবস্থায় অবশ্য মোবাইল ফোনের ওপরে নির্ভরতা ছিল সবথেকে বেশি। সবারই কম বেশি ধারণা ছিল, এক দু মাসের মধ্যে পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু যত সময় গেছে, ততোই বোঝা গেছে পরিস্থিতি যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। সুতরাং শুধুমাত্র স্মার্ট ফোন দিয়ে এই পরিস্থিতিকে সামলানো অসম্ভব হয়ে পড়ে একসময়। যার ফলে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বর্তমানে ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপ কিংবা আইপ্যাডের কেনাকাটা। অন্যদিকে অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে স্মার্টফোন অত্যন্ত জরুরী ব্যবহার্য বস্তু হিসেবে দেখা দিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই অবস্থায় অনেককেই অসুবিধা হলেও স্মার্ট ফোন কিনতে হয়েছে। অনেকেই আবার ডেস্কটপ বা ল্যাপটপও কিনে ফেলছেন। দীর্ঘদিন ধরে অনেকেই ছোট ডিভাইসে কাজ করতে অসুবিধা বলে একটু উন্নত ডিভাইসের আশ্রয় নিচ্ছেন। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে এবার কম্পিউটার বিক্রি। এ প্রসঙ্গে জেলার এক ব্যবসায়ীর কথায়, ওয়েব ক্যামেরার সুবিধা থাকায় ডেস্কটপের তুলনায় ল্যাপটপের বিক্রি বেড়েছে। অন্যদিকে আরেক ব্যবসায়ীর কথায় জানা যাচ্ছে, কম্পিউটারের বিক্রি গত দেড় মাসে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। তার সাথে বাড়ছে লভ্যাংশের হার। তবে এ প্রসঙ্গে আশঙ্কা করা হচ্ছে অন্য এক বিপদের। এক ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যাচ্ছে, যেসব ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ ক্ষমতা বেশি, তাঁরা বাজার থেকে কম্পিউটারের বিভিন্ন পার্টস অনেক বেশি পরিমাণে কিনতে শুরু করেছেন।

যার ফলে বাজারে এবার চাহিদা বাড়লেও জোগান কমে যাচ্ছে। আপাতত একথা পরিষ্কার আগামী বেশ কিছুদিন সাধারণ মানুষকে প্রযুক্তির শরণাপন্ন হয়েই চলতে হবে। আর তার জন্য খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রয়োজন পড়বে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের। তবে এই অবস্থায় কালোবাজারি হবার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি। আর তাই ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রশাসনকে সতর্ক হতে হবে। প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!