বোর্ড গঠন ঘিরে ২ জেলায় ধুন্ধুমার – রণক্ষেত্র পরিস্থিতি, জখম বহু উত্তরবঙ্গ রাজ্য August 26, 2018 রাজ্যে নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পথে নেমে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল বিরোধীরা। এবারে সেই নির্বাচনের রেশ কেটে বোর্ড গঠনের সময় আসতে না আসতেই সেই বোর্ড গঠনকে ঘিরে জেলায় জেলায় শুরু হল তীব্র সংঘর্ষ। সূত্রের খবর, গত শুক্রবার এই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলার একাধিক জায়গায় চরম গণ্ডগোলের সৃষ্টি হয়। এদিন নাগরাকাটা ব্লকের আংরাভাষা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে এই বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে সিপিএম এবং তৃণমূলের মধ্যে চরম সংঘর্ষ বাঁধে। যেখানে দু দলেরই অন্তত ২২জন জখম হন বলে খবর। অভিযোগ, এই ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিস লাঠিচার্জ এবংশ টিয়ার গ্যাসের শেলও ফাটায়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এদিকে এই সংঘর্ষের ঘটনায় জখমদের বানারহাট, সুলকাপাড়া ও জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করার পাশাপাশি এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিস। কিন্তু বোর্ড গঠনের সময়েই কেন এই গন্ডোগোল? জানা গেছে, এই আংরাভাষা 1 গ্রাম পঞ্চায়েতে এবার সিপিএম সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় এদিন তারা বোর্ড গঠন করতে এলে তৃণমূলের লোকজন তাদের গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে না দিয়ে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ করে সিপিএম সমর্থকেরা। অন্যদিকে তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পরে অবশ্য এই পঞ্চায়েতে তৃণমূলই তাঁদের বোর্ড গঠন করায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এদিকে সংখ্যাগরিষ্টতা থাকা সত্তেও পঞ্চায়েতের দখল নিতে না পারায় এই পঞ্চায়েতেরই সিপিএমের জয়ী সদস্য পার্বতী ছেত্রি বলেন, “আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছি। কিন্তু তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী আমাদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। মহিলা প্রার্থীদের প্রায় উলঙ্গ করে মারা হয়েছে।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রব্লেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অমরনাথ ঝা বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। ওরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারেনি। পরে ওরাই ঝামেলা পাকায়।” এদিকে নাগরকাটায় যখন উত্তপ্ত পরিস্থিতি, ঠিক তখনই পাশের কোচবিহারের মথাভাঙার পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের নির্বাচিত সদস্যরা দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত নিয়ে প্রধান নির্বাচন করায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। যার ফলে নিশিগঞ্জ-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। এদকে এই একই দিনে জলপাইগুড়ির মণ্ডলঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া চলাকালীন প্রিসাইডিং অফিসার অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রিসাইডিং অফিসার। ১৬ আসনের এই পঞ্চায়েতে স্থগিত হয়ে যায় বোর্ড গঠন। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে ঘিরে দিনভর সমস্যায় জেরবার উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলা। আপনার মতামত জানান -