এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বোঝো ঠ্যালা, শাহজাহানকে নিয়ে বড় বার্তা হাইকোর্টের! হাওয়া ফুস তৃণমূলের!

বোঝো ঠ্যালা, শাহজাহানকে নিয়ে বড় বার্তা হাইকোর্টের! হাওয়া ফুস তৃণমূলের!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কত বড় বড় কথাই না শেখ শাহজাহানকে নিয়ে বলেছিলেন তৃণমূলের যুবরাজ। তাকে নাকি আদালত গার্ড করছে। কিন্তু এবার তিনি মুখ দেখাতে পারবেন তো? গতকাল স্বনামধন্য ভাইপো যে কথা বলেছিলেন, তারপর আজ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট ভাষায় যে বিষয়টি জানিয়ে দিলেন, তারপর আর তৃণমূলের মুখ দেখানোর মত জায়গা থাকল না। এবার সেই যুবরাজ ভেবে নিন যে, তিনি মুখটা কোথায় লুকোবেন? সব সময় আদালতকে অমর্যাদা করা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের। তাই আজকে শাহজাহানকে নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট যে কথা বলে দিল, তারপর যদি লজ্জা থাকে, তাহলে ক্ষমা চাওয়া উচিত তৃণমূলের সেই শীর্ষ নেতার। তেমনটাই দাবি করছে বিরোধীরা। কিন্তু কি এমন হয়েছে? আজ আবার শাহজাহানকে নিয়ে কি বলল কলকাতা হাইকোর্ট?

প্রসঙ্গত, আজ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন যে, শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে কোনো বাধা নেই। আর তারপরেই প্রশ্ন উঠছে যে, তাহলে গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতের বিচারপতিদের এই ব্যাপারে অসম্মান করলেন কেন? কেন তিনি এই ধরনের কথা বললেন যে, আদালত নাকি শাহজাহানকে গার্ড করছে! তার পিসির পুলিশ নাকি তৈরি আছে, শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করার জন্য! এই দলদাস পুলিশের কত বড় দম, তা তো রাজ্যের মানুষ দেখছে। এতদিন ধরে শাহজাহান এবং তৃণমূল নেতারা সন্দেশখালিতে মানুষের ওপর যে অত্যাচার করেছে, যেভাবে মহিলাদের সম্ভ্রম কেড়ে নিয়েছেন, তারপরেও এই পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো স্টেপ নেওয়ার মতো ক্ষমতাটুকুও দেখায়নি। আজকে মানুষ যখন হাতে আইন তুলে নিচ্ছে, যখন জনরোষ আছড়ে পড়ছে, তখন পুলিশ তাকে শান্ত করার জন্য লোক দেখানো গ্রেফতারি করানোর পথে হাঁটছে। তবে তৃণমূলের ওপরতলার পক্ষ থেকে যে এই শাহজাহানকে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে, এটা আজকে আদালতের বক্তব্যের পর আরও বেশি করে স্পষ্ট হয়ে গেল। কারণ আর যাই হোক, আদালত সেই ভাইপোর কথামত এই শেখ শাহজাহানকে যে গার্ড করছে না, সেটা একদম স্পষ্ট করে দিলেন প্রধান বিচারপতি।

পর্যবেক্ষকদের মতে, আসলে শাহজাহান গ্রেপ্তার হলে তৃণমূলের অনেক বড় বড় রাঘব বোয়ালরা ফেঁসে যাবেন। কারণ এই শাহজাহান মডেল কে তৈরি করেছে, তা সকলেই জানে। ভাইপোর জন্যেই যে এই সমস্ত গুন্ডাদের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে, সেটাও স্পষ্ট। তাই নিজের দিক থেকে দোষ ঝেড়ে ফেলার জন্যই এত বড় ঔদ্ধত্য হয়ে গিয়েছে সেই ভাইপোর যে, আদালতকে আক্রমণ করতেও দুবার ভাবে না। তবে এবার সবকিছু শেষ আদালত যেভাবে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল, তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে, শাহজাহানকে কে বা কারা গার্ড করছে! তাই লজ্জা থাকলে এবার অন্তত আদালত অবমাননার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত সেই স্বনামধন্য যুবরাজের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!